পুরীর সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন হাওড়ার বাবা-ছেলে, বেড়াতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল বাংলার ২ পর্যটকের (Tourists)। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গেলেন বাবা, ছেলে সহ ৩ জন। বেশ কিছুক্ষণ পর উদ্ধার হল বাবা ও ছেলের নিথর দেহ। তাঁদের আরেক সঙ্গীকে নুলিয়ারা উদ্ধার করলেও তাঁর অবস্থা গুরুতর। বুধবার সকালে স্বর্গদ্বার এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অন্যদিকে, হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের বাসিন্দা বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সমুদ্রে স্নান করতে নেমে কী ভাবে তাঁরা তলিয়ে গেলেন তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কেবল ঢেউয়ের তাণ্ডবে টাল সামলাতে না পেরেই ওই যুবকেরা তলিয়ে গেলেন নাকি তাঁরা নেশাগ্রস্ত ছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পর্যটকদের মধ্যে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে সমুদ্রপাড়ে।
জানা গিয়েছে, হাওড়া শিবপুর থানার অন্তর্গত ১ নম্বর আচার্জী পাড়া লেনের দাস পরিবার গত ১ মে পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই বাড়ির পাঁচ সদস্য ছিলেন। পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন রঞ্জন দাস, তার স্ত্রী, ছেলে, ভাগনা এবং তাঁর মা। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা পুরীতে পৌঁছন। এরপর এদিন দুপুরে স্বর্গদ্বারে ১৩ নম্বর সেক্টরে স্নান করতে যান। হঠাৎ করেই ঢেউয়ের তোড়ে তলিয়ে যেতে থাকেন রঞ্জন দাস, তাঁর থেলে ঋষভ এবং ভাগনা সায়ন। ঘটনাটি দেখতে পেয়েই তাঁদের উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন সেখানে উপস্থিত এক নুলিয়া। তিনি সায়নকে উদ্ধার করলেও বাকি ২ জনের হদিশ পাননি। বেশ কিছুক্ষণ পর সমুদ্রে তল্লাশি চালিয়ে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করেন নুলিয়ারা। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, সায়ন মাইতি এখনও পুরী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদাম কাকু? ভুল স্বীকার করলেন ভুবন,
পুরী প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম রঞ্জন দাস (৫২) ও তার ছেলে ঋষভ দাস (১৬ )। এঁরা হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। এঁদের সঙ্গেই তলিয়ে গিয়েছিলেন রঞ্জন দাসের ভাগনা সায়ন মাইতি। তবে তাঁকে নুলিয়ারা উদ্ধার করেছেন। পুরী জেলা হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।