এবার দলের লোকজনকেই মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিরোধীদের হুমকি-শাসানির অভিযোগে একাধিকবার নাম জড়িয়েছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়কের। তবে এবার দলের লোকজনকেই মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। চুঁচুড়া বিধানসভার কোদালিয়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের রবীন্দ্রনগর কালীতলা। সেখানে কৃষ্ণা মণ্ডল নামে এক তৃণমূল প্রার্থী গ্রামপঞ্চায়েতে জয়ী হন। তাঁরই স্বামী আধার মণ্ডলের নামে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে এলাকার সাতটি পরিবার।
এদিন কালীতলায় গিয়ে অভিযোগকারী ও আধার মণ্ডলকে ডেকে কী হয়েছিল জানতে চান বিধায়ক। স্থানীয়রা আধারের সামনেই বিধায়ককে অভিযোগ জানান। সিপিএমকে ভোট দেওয়ায় হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপরই রেগে ওঠেন বিধায়ক। পুলিশকে ডাকা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
অসিত মজুমদারের কথায়, “তৃণমূলের নামে কেউ চমকালে সে যত বড় নেতাই হোক, আমি ছাড়ব না। তৃণমূল মানুষের দল। সে দলের কেউ মানুষকে চমকায় না। আমার পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীর নামে অভিযোগ। আমার বাড়িতে লোক গিয়েছে। কেন হবে? আমি নিজে এসেছি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ভুল স্বীকার করে জানিয়েছে এরকম কখনও করবে না।”
যদিও বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের বক্তব্য, “চুঁচুড়ায় সবথেকে বড় চমকানোর নেতা তো চুঁচুড়ার বিধায়কই। যে দলের গোড়ায় গলদ, সেই দলের শাখা প্রশাখা এমনই তো হবে। এটাই দলের কালচার। আজকে উনি কোদালিয়া-২ অঞ্চলে যা করছেন সবটাই আইওয়াশ। এই দলটার নীতিই তো সাধারণ মানুষকে চমকানো।”
আরও পড়ুন – লোকসভা নির্বাচনে চওড়া হাসি ফুটতে পারে তৃণমূলের ঠোঁটে? BJP-ই বা পেতে পারে…
অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী ওই সাত পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। কারণ, ওই পরিবারগুলি তৃণমূলকে ভোট দেয়নি। এ নিয়ে অসিত মজুমদারের কাছে অভিযোগ যায়। এরপরই রবিবার কালীতলায় যান অসিত মজুমদার। অভিযোগ, যিনি হুমকি দিয়েছেন, সেই তৃণমূল নেতারই হাড়গোড় ভেঙে দেবেন বলেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি জানান, মানুষ পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতেই পারেন। তাঁর জন্য এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে কেন?