একটা মাইক ও অটো ঘুরছে, তৃণমূল বলে কিছু নেই’, ত্রিপুরায় জোড়াফুলের সংগঠন নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের, ‘একটা মাইক আর একটা অটো ঘুরছে, তৃণমূল বলে কিছুই নেই’, ত্রিপুরায় (Tripura TMC) তৃণমূলকে নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি (BJP Leader) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। সংযোজন, ‘তৃণমূলের লোকজনদের খুঁজতে হচ্ছে ওখানে।’ এদিন সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে চা চক্রে এমনই দাবি তাঁর।
কটাক্ষ দিলীপের…
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এদিন সকালের চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফর ঘিরে দিলীপের প্রশ্ন, ‘এর আগেও ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন। কী পেয়েছে? সাড়ে তিনশোর মধ্যে এক জন কাউন্সিলর জিতেছিলেন। তিনিও দল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। গোয়ায় হয়েছে, ত্রিপুরাতেও তাই হবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি দু- তিন বার ত্রিপুরাতে গেলাম। দেখে এলাম কী আছে। তৃণমূলের লোকজনদের খুঁজতে হচ্ছে ওখানে। একটা মাইক আর একটা অটো ঘুরছে, তৃণমূল বলে কিছুই নেই। টাকাগুলো আছে। খরচ করতে হবে।’ দিলীপের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অধিকারের টাকাকে লুট করে নিয়ে ওখানে দল বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু তাদের ‘আসল’ চেহারা সারা ভারতের লোক জেনে গিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দাবি, ‘এই জন্য ত্রিপুরায় কোনও সম্ভাবনা নেই। একটাও আসন পাবে না।’
আরও পড়ুন – আইন মেনেই চাকরি দেব, কেউ আটকাতে পারবে না’, চ্যালেঞ্জ মমতার,
নির্বাচনে ত্রিপুরা…
বৃহস্পতিবারই ভোট উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। আজ প্রচারের শেষ। সকাল থেকেই তাই বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এবার বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের আশিস সাহা। বিজেপির প্রচারে লোক নেই, কটাক্ষ তৃণমূলের। এবার বিধানসভা ভোটে আগরতলা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিন্হা দাঁড়িয়েছেন কৈলাসহর কেন্দ্রে। বনমালিপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী লড়ছেন দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুম বিধানসভা আসনে। ত্রিপুরা বিধানসভার ৬০টির মধ্যে ২৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। তিপ্রা মথা লড়ছে ৪২টি আসনে। পার্বত্য ত্রিপুরার ২০টি আসনে তাদের লড়াই মূলত তৃণমূলের সঙ্গে। সব মিলিয়ে শেষ বেলার প্রস্তুতি তুঙ্গে। দম ফেলার ফুরসত নেই কারও। যদিও ভোট হওয়ার আগেই অমিত শাহ নিশ্চিত, এবারও বিজেপিই সরকার গড়বে সেখানে। তাঁর কথায়, ‘ত্রিপুরায় আমাদের আমলে হিংসার বাতাবরণ বদলে গিয়েছে।…উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্তির ছবি পাল্টে গিয়েছে।… ৮ হাজার জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে।’ সত্যি কি এমনই হতে চলেছে? জানতে আর কয়েকদিনের অপেক্ষা।