মন্দারমণিতে ভাঙা হচ্ছে অবৈধ নির্মাণ, নির্দেশ দিয়েছিল আদালতই , মন্দারমণিতে আবারও অবৈধ হোটেল উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে উচ্ছেদ অভিযানে নেমে বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এদিন মন্দারমণি লাগোয়া দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর-সহ সমুদ্র উপকূল এলাকায় অবৈধ হোটেল ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে প্রশাসন। এরপরই মেরিন ড্রাইভে শুরু হয় অবরোধ। এর আগেও চারটি অবৈধ হোটেল ভাঙার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। উৎসবের মরসুম সামনে। তার আগে হোটেল ভাঙতে গেলে বাধা দেয় মালিকপক্ষও। এ নিয়ে এদিন শুরু হয় ঝামেলা।
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট মৌজার কালেক্টরের ১ নম্বর খাস খতিয়ানের জায়গা দখল করে ৪টি অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। হোম স্টে ছিল সেখানে। এ নিয়ে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয় সেগুলি ভেঙে ফেলার। গত ৩ অগস্ট প্রথমবার উচ্ছেদ অভিযানে নামে প্রশাসন। তবে সেদিন কাজে বাধা পেয়ে ফিরে যায় তারা। চারটি নির্মাণের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়। এদিন পুরোপুরি ভাঙা হল।
রামনগর- ২ ব্লকের বিডিও অখিল মণ্ডলকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল এই উচ্ছেদ অভিযানে। তাঁর নেতৃত্বেই এদিন বিশাল পুলিশবাহিনী দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে যায়। বুলডোজার নিয়ে হাজির হয় তারা। এরপরই বাধে গোল। কাঁথি থেকে মন্দারমণি যাওয়ার রাস্তার উপর দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুরে রামকৃষ্ণ মিশনের কাছে রাস্তায় বেড়া বসিয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে ব্যস্ততম এই রাজ্য সড়কের ওপর খানিকটা যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়।
কাঁথির মহকুমাশাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, “আদালতের নির্দেশে এই অবৈধ নির্মাণগুলি ভাঙা হয়েছে। উচ্ছেদ রুখতে বাধা দেওয়া হয়েছিল নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে। তবে সব বাধা পেরিয়ে আদালতের নির্দেশ মতো আমরা উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পেরেছি।”
আরও পড়ুন – এসএসসির বিরোধিতা সত্ত্বেও চাকরি যাচ্ছে না সেই প্রিয়ঙ্কার, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল
কাঁথি মহকুমা এলাকায় সৈকত সুন্দরীর নাক বরাবর দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর এলাকা। মন্দারমণি কোস্টাল থানার অন্তর্গত। আদালতের নির্দেশেই অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। তবে এদিন বাধার মুখে পড়তে হয় প্রশাসনকে। বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় রাজ্য সড়কের উপর। যদিও সমস্ত বাধা পার করে এদিন উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে বলেই জানান কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য।