ফের পাক সেনা ও সরকারকে নিশানা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সরকারকে নিশানা করে ফের গর্জে উঠলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশ যাঁরা দখল করে আছেন, তাঁদের দুর্বৃত্তের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। এত টুইট বার্তায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আম জনতাকে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টির (Pakistan Tehreek-e-Insaf) প্রধান।
উল্লেখ্য, জমি দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে সামিল হন ইমরান সর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের নিশানায় ছিল পাক সেনা দফতর। বহু জায়গায় হামলার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চলে অবাধ লুঠপাটও। সেই সঙ্গে একাধিক স্থানে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ইমরানের দল। যদিও, তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ওঠা হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ পার্টির প্রধান।
বর্তমানে, দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের একাধিক আদালত ইমরানের জামিন মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার নতুন করে ইমরানকে তলব করেছে পাক দুর্নীতি দমন বিভাগ। সেই তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হাজির থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তারপরেই টুইট বার্তায় সরকারকে নিশানা করেন।
টুইট বার্তায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লেখেন, বর্তমানে দেশ এখন গভীর আর্থিক সঙ্কটের মুখে। জঙ্গি হানা থেকে শুরু একদিন সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু এ নিয়ে বর্তমান শাসক দলের কোনও মাথাব্যথা নেই বলে দাবি করেন তিনি। সরকারের মধ্যে বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে বলে অভিযোগ করেন। এই অবস্থা চললে আগামী দিনে দেশ আরও গভীর সমস্যায় মুখোমখি হবে বলে মনে করছেন ইমরান। তাই, দেরি না করে এখনই সরকারের বিরুদ্ধে আমনজনতাকে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য টুইট বার্তায় আবেদন জানিয়েছেন PTI প্রধান।
এখানেই থেমে থাকেননি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই ধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকলে, আগামী দিনে পাকিস্তান ভাগ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন। পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে এক ভিডিয়ো বার্তায় জানান। সব জেনেও বর্তমান পাক সরকার কেন সমস্যা সমাধানে সক্রিয় হচ্ছে না, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন – অভিষেককে সিবিআই তলব করতেই মন্তব্য সুকান্তের, এক সুর সেলিমে।
শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে সেনাকে অপব্যবহারের অভিযোগ করেন ইমরান। তাঁর দলের বিরুদ্ধে সেনাকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে বিক্ষোভের সময় প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে পাক সেনার গুলিচালানোর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত, গুলি চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জন প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন শতাধিক।