নতুন বছরে ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল বেঙ্গল সাফারিতে। রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকদের ভিড়ে একদিনে ৬.৭ লক্ষ টাকার আয় এলো সাফারির কোষাগারে। বর্ষবরনের সপ্তাহে পর্যটকদের উপহার দিতে সোমবারও খোলা থাকছে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান। শনিবার বর্ষ বিদায় অনুষ্ঠানের পর রবিবার নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ছুটির আমেজ মেতে ওঠে শিলিগুড়ি শহর।
বর্ষবরনের দিনে পর্যটকদের রেকর্ড ভাঙা ভিড় নামে শিলিগুড়ির শালুগাড়ার কাছে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারিতে। ইংরেজি নববর্ষের দিনে হাজারে হাজারে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা ছিল সাফারি পার্ক। সকাল থেকেই নবীন প্রবীণদের ভিড় জমে উঠতে থাকে সাফারিতে।
সময় গড়াতে উত্তরের বিভিন্ন জেলা এবং দূরদূরান্ত থেকে আসা হাজারে হাজারে পর্যটকদের গিজগিজে ভিড়ে তিল ঠাঁইয়ের উপক্রম ছিল না। দিন শেষে ইংরেজী নববর্ষে সাফারিতে পর্যটকদের পরিসংখ্যান দাঁড়িয় ৫৫৬২জন।সাফারিতে চলতি আর্থিক বছরের নিরীখে এই বিপুল পর্যটক সংখ্যা ও আয়ের অংক নয়া রেকর্ড ছুঁয়েছে বলে দাবি পার্ক কর্তৃপক্ষের। সাফারির নতুন ডিরেক্টর কমল সরকার বলেন চলতি আর্থিক বছরে এত সংখ্যক পর্যটকের ঢল নতুন রেকর্ড গড়েছে। এদিন ৬.৭ লক্ষ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
পর্যটকদের বাধভাঙা ভিড় ছিল। বড়দিন থেকেই কচিকাঁচাদের নিয়ে নানা ধরণের উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সাফারি পার্কে। পাশাপাশি অন্যতম আকর্ষণ রয়্যাল বেঙ্গলের সঙ্গে বর্তমানে এক্সটিক বানর,ওয়াকিং এভিয়েরী ঘুরে ক্যাঙারু দর্শন পর্যটকদের কাছে আকর্ষনের নয়া কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। এদিকে এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পর্যটকদের পাশাপাশি দূরদূরান্ত থেকে দার্জিলিং সিকিম গামী পর্যটকেরাও সাফারিতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত ( Panchayats ), টিকিট মহার্ঘ, জ্বলছে আগুন, অভিষেক তৎপর, আইপাকের বড় দায়িত্ব
সাম্প্রতিক কালে দূর দূরান্তের পর্যটকদের কাছে পাকাপাকি হবে টুরিস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প সাফারি পার্ক। ফেস্টিভ মরশুমে দার্জিলিং, সিকিম ডুয়ার্স বেড়াতে আসা পর্যটকেরা তাদের ভ্রমণের তালিকার একেবারে উপরের দিকে রাখছেন সাফারি পার্ককে। তাই ইংরেজি নতুন বছরে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সোমবারও খোলা রাখা হয়েছে সাফারি পার্ক। মূলত প্রতি সপ্তাহে সোমবার পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ ও বন্যপ্রাণীদের নিজ স্বাভাবিক ছন্দ বজায় রাখার জন্যই পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ উদ্যান বেঙ্গল সাফারি।
তবে নতুন বছরে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ভিড়কে নজরে রেখেই কর্তৃপক্ষের তরফে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের উপহার হিসেবে আজ সোমবার খোলা থাকছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। অন্যদিকে রবিবার বছরের প্রথম দিনে শিলিগুড়ি শহর ডুবে ছিল ছুটির আমেজে। দুধিয়া, গাজলডোবা ভোরের আলো, রংটং সহ বিভিন্ন পিকনিক স্পটে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ার ছবি নজরে আসে। কোন পিকনিক স্পটেই তিল ধারনের জায়গা ছিল না।শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফে শহরের পার্শ্ববর্তী পিকনিক স্পট গুলিতে কড়া নজরদারি চালানো হয়।
এদিন শহরে নতুন বছরের পাশাপাশি রবিবার ছুটির দিনে সমস্ত ব্যস্ততম এলাকা গুলির দোকান বাজার ছিল বন্ধ। যেন শীতের আমেজ গায়ে জড়িয়ে এ দিন শহর ছিল ছুটির মেজাজে। বিকেল থেকে শহরের রাস্তায় নববর্ষের উন্মাদনায় মানুষের ঢল চোখে পড়ে। বিকেল গড়াতেই শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, বার,পাব, মলগুলিতে সর্বত্র একই রকম প্রবল উচ্ছাস ও ভিড়ে ঠাসা পরিচিত ছবি নজরে আসে। সমস্ত মল, বার ও পাবের সামনে বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। ভ্রমণ পিপাসুদের