মণিপুরের রাজ্যপালকে স্মারকলিপি ইন্ডিয়া জোটের

মণিপুরের রাজ্যপালকে স্মারকলিপি ইন্ডিয়া জোটের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মণিপুরের রাজ্যপালকে স্মারকলিপি ইন্ডিয়া জোটের, রবিবার (৩০ জুলাই) ইম্ফলে রাজভবনে মণিপুরের রাজ্যপাল অনসুয়া উইকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মণিপুরে দুই দিনের সফরে, কুকি এবং মেইতেই উভয় সম্প্রদায়ের ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করেছেন বিরোধী দলের নেতারা। এদিন, তাঁদের সেই অভিজ্ঞতা তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে ভাগ করে নেন। সেই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা রাজ্যপাল অনসুয়া উইকের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেছেন। রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি ফেরানোর জন্য সমস্ত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন তাঁরা। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর, কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্যপাল তাঁদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন। পাশাপাশি, মণিপুরের হিংসার অবসানের জন্য তিনি বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের সমস্ত সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

 

 

 

 

চূড়াচাঁদপুর, মৈরাং এবং ইম্ফলে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের ত্রাণ শিবিরগুলি তাঁরা পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। সেখানে এই হিংসার শিকারদের অভিজ্ঞতা শুনে তাঁদের হাড় হিম হয়ে গিয়েছে। ৪ মে যে মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানো হয়েছিল, তাঁদের একজনের সঙ্গেও দেখা করেছেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা, জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। ত্রাণ শিবিরগুলির অবস্থাও শোচনীয় বলে অভিযোগ করেছে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল। অবিলম্বে শিশুদের এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। ইন্টারনেটে নিষেদাজ্ঞার ফলে আরও বেশি গুজব রটছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ‘নীরবতা’ নিয়ে এই স্মারকলিপিতেও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী জোট।

 

 

 

আরও পড়ুন – রবিবার বহু ট্রেন বাতিল হাওড়া-বর্ধমান শাখায়, ভোগান্তি যাত্রীদের

 

 

 

 

রাজ্যপালের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গত ৮৯ দিন ধরে মণিপুরে আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ বিপর্যয় সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবহিত করার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। রাজ্যে শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফেরাতে মণিপুরের এই অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতে বলুন।” স্মারকলিপিতে তাঁরা আরও জানিয়েছেন, ৩ মে থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ইতিমধ্যে ১৪০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ৫০০০-এর বেশি বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৬০,০০০-এর বেশি মানুষ ভিটে ছাড়া। এর থেকেই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট বলে দাবি করা হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top