ই-টিকিট আর আই-টিকিটের পার্থক্য জানেন তো? প্রত্যেক রেলযাত্রীর জানা উচিত। আপনাকে কি প্রায়শই ট্রেনে যাত্রা করতে হয়? তাহলে ট্রেনের টিকিট সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে রাখাটা আপনার অত্যন্ত প্রয়োজন। বিভিন্ন সময়ে টিকিট বুকিং সংক্রান্ত নিয়মগুলি বদলিয়ে থাকে ভারতীয় রেল। আজকাল অধিকাংশ মানুষ অনলাইনেই টিকিট বুক করেন। অনলাইনে টিকিট কাটলে আপনি হয় ই-টিকিট পাবেন, অথবা আপনাকে আই-টিকিট দেওয়া হবে। ই-টিকিট কী এবং আই-টিকিট-ই বা কী, তাদের মধ্যে পার্থক্য কী, এই তথ্যগুলি প্রত্যেক রেলযাত্রীর জানা উচিত।
ই-টিকিট এবং আই-টিকিটের পার্থক্য –
– ই-টিকিট যাত্রীরা ইচ্ছামতো প্রিন্ট করতে পারবেন। আই-টিকিট প্রিন্ট করা যায় না।
– কুরিয়ার মারফৎ আসে বলে, ই-টিকিটের মতো অবিলম্বে হাতে পাওয়া যায় না আই-টিকিট।
– আই-টিকিটের ক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জও যাত্রীর কাছ থেকেই নেওয়া হয়। তাই, এই টিকিট কাটার খরচ বেশি।
– আই-টিকিট যাত্রার অন্তত দুই দিন আগে বুক করতে হয়। ই-টিকিটের ক্ষেত্রে যাত্রার একই দিনআগে পর্যন্ত টিকিট বুক করা যায়।
– ই-টিকিটে ওয়েটিং বিভাগ নেই। হয় আপনাকে কনফার্মড টিকিট দেওয়া হবে, অথবা আরএসি। আই-টিকিটে কনফার্মড, আরএসি বা ওয়েটিং – তিন বিভাগের টিকিটই পাওয়া যায়।
ই-টিকিট কি?
ই-টিকিট হল, ইলেকট্রনিক প্রিন্টেড টিকিট। অর্থাৎ, সাধারণ টিকিটেরই ইলেকট্রনিক সংস্করণ। কোনও যাত্রী প্রয়োজন মনে করলে এই টিকিট প্রিন্ট করতে পারবেন। বলাই বাহুল্য, এর জন্য রেলের টিকিট কাউন্টারে যেতে হয় না। ঘরে বসে ইন্টারনেটের সাহায্যে অনলাইনেই বুক করা যায় ই-টিকিট। রেলের টিকিট কাউন্টার থেকে দেওয়া টিকিটের মতো এই টিকিটও বৈধ। এমনকি প্রিন্ট না করে, মোবাইল বা ট্যাবে এই টিকিট খুলে দেখালেও তা বৈধ বলেই ধরা হয়। তবে, ই-টিকিট কেটে যাত্রা করলে সহ্গে কোনও একটি বৈধ পরিচয়পত্র রাখতে হবে।
আরও পড়ুন – গোপন জায়গায় রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী , নিখোঁজ কংগ্রেস প্রার্থীর ভিডিয়ো দেখে কড়া…
আই-টিকিট কি?
এই টিকিটও ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বুক করা যায়। তবে আই-টিকিট রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট যাত্রীর ঠিকানায় কুরিয়ার করে পাঠায়। এর জন্য আইআরসিটিসির (IRCTC) ওয়েবসাইটে টিকিট বুক করার সময়, যাত্রীকে তার ঠিকানা দিতে হয়। টিকিটটি ওই ঠিকানায় কুরিয়ার করে রেলওয়ে। এর জন্য প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে।