বেকসুর খালাস ৪ অভিযুক্ত, প্রতিবাদীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কামদুনিতে আইএসএফ

বেকসুর খালাস ৪ অভিযুক্ত, প্রতিবাদীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কামদুনিতে আইএসএফ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
বেকসুর খালাস ৪ অভিযুক্ত, প্রতিবাদীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কামদুনিতে আইএসএফ

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে কামদুনি মামলায় চারজনকে বেকোসুর খালাস করে দিয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের ফাঁসির সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি দুজনের ফাঁসির সাজা মকুব করে আমৃত্যু দিয়েছে আদালত। এই রায়ের পর গত রাতে মুক্তি পেয়েছে কামদুনি মামলায় অভিযুক্ত চারজন। এই রায়ে ব্যাপক অসন্তোষ কামদুনিতে। নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার। প্রতিবাদী ও আন্দোলনকারী মৌসুমী ও টুম্পা কয়ালও প্রাণ ভয়ে ভীত। ১০ বছরের আন্দোলনের পর উচ্চ আদালতের রায়ে অভিযুক্তদের মুক্তিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে কামদুনিতে।

আরও পড়ুনঃ ১২ লক্ষ টাকার প্রতারণা মামলায় স্বস্তি পেলেন সলমনের নায়িকা

সোমবার রাতে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে চার অভিযুক্ত। আর আজ মঙ্গলবার সকালেই কামদুনিতে হাজির আইএসএফ। কামদুনির প্রতিবাদী প্রতিবাদী মুখ মৌসুমির ও টুম্পার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পাশে থাকার বার্তা দিতে ওই গ্রামে যান ISF -এর প্রতিনিধি দল। পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কামদুনিতে গিয়ে আই এস এফ এর জেলা সভাপতি সহ নেতৃত্ব দেখা করল মৌসুমীর সঙ্গে।

 

এই দিন আইএসএফ নেতৃত্বের মুখে ফের শোনা যায় পূর্বের কথা । তারা প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী হয়ে ঘটনা ঘটার পর কিভাবে নির্যাতিতার রেট বেধে দিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই দিন আইএসএফ নেতৃত্ব। পাশাপাশি মৌসুমি,টুম্পা কে মাওবাদী তকমা দেওয়া প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে এইদিন আক্রমণ করে আইএসএফ নেতারা। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতারা জানিয়েছেন, ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির নির্দেশ মতই তারা কামদুনি গ্রামে আসে। কামদুনির ঘটনাকে প্রথম থেকে রাজ্য সরকার আড়াল করার এবং যারা প্রকৃতপক্ষের দোষী তাদেরকেও আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে এইদিন অভিযোগ করে আইএসএফ নেতৃত্ব।

 

কামদুনিতে দাঁড়িয়ে তাদের হুঁশিয়ারি, প্রকৃত যারা দোষী তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন কোনওভাবে যদি কামদুনিতে মৌসুমি ও টুম্পা কয়ালের মত প্রতিবাদীদের উপর আক্রমণ নামে তার জন্য আইএসএফ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৭ জুনের ঘটনার নৃশংসতায় কেঁপে উঠেছিল গোটা বাংলা। তরুণীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেই মামলাতেই অভিযুক্ত ছয় জনের মধ্যে মাত্র ২ জন দোষী সাব্যস্ত হয় উচ্চ আদালতে এবং ফাঁসির সাজা কমে হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড। এতদিন ধরে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালানোর পর তাদের মুক্তিতে আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাদের।’

en.wikipedia.org

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top