এগরার আইসি বদল,এগরার বিস্ফোরণে IC-র ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মমতা, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) পর থেকেই আরও কড়া নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে বদলি করা হল এগরা থানার আইসিকে। এতদিন ধরে এগরা থানার আইসি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মৌসম চক্রবর্তী। এবার তাঁকে বদলি করে পাঠানো হচ্ছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার ইনস্পেক্টর হিসেবে। আর এগরা থানার নতুন আইসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল স্বপন গোস্বামীকে। এর আগেও এই থানায় কাজ করেছেন স্বপনবাবু। এতদিন তিনি হুগলি গ্রামীণ পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় আইসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এলাকা সামলানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন স্বপন গোস্বামীকে ফের একবার নিয়ে আসা হল এগরা থানায়।
উল্লেখ্য, সেদিনের ঘটনার পরই ওই কারখানার মালিক ভানু বাগ এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। প্রায় ৭০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তাকে এলাকা থেকে সরিয়ে বাংলার সীমানা পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওড়িশায়। কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল ওই ব্যক্তি। গতকাল গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই বেআইনি বাজি কারখানার মালিকের। আর এরই মধ্যে এগরা থানার আইসিকে বদলি করা হল। নতুন আইসি হিসেবে নিয়ে আসা হল হুগলি পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানার আইসিকে।
আরও পড়ুন – মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো নম্বর, দেবদত্তা-রিফাতদের ফোন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, এগরার ওই বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পরই স্থানীয় থানার আইসির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, ওই বাজি কারখানার মালিককে আগেও একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার জামিন পেয়ে যান। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, ওই ব্যক্তি জামিন পাওয়ার পরেও কীভাবে আবার একই কাজ করছিলেন? বলেছিলেন, ‘আইসি-কে শোকজ করে জিজ্ঞেস করতে হবে, কেন ওই ব্যক্তি জামিন পাওয়ার পর আবার একই কাজ করছেন।’