দলের নির্দেশ মেনেই করব পদক্ষেপ, তৃণমূল প্রার্থী সুব্রতের

দলের নির্দেশ মেনেই করব পদক্ষেপ, তৃণমূল প্রার্থী সুব্রতের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছিল গোসাবা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুব্রত মণ্ডলকে ( Subrata )। সোমবার বিকেলে নিজের এলাকা বালি দ্বীপ থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। সুব্রত সোমবার বলেন, ”দল যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছে তাতে আমি আপ্লুত। আগামীদিন দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই ভোট প্রচার সংক্রান্ত যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে।” পাশাপাশি সুব্রত জানান, আগামী দিনে গোসাবার সমস্ত এলাকাগুলিতে স্থায়ী নদীবাঁধ গড়ার বিষয়টি তাঁর প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ হবে।

আর ও  পড়ুন    গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন?

নীলবাড়ির লড়াইয়ে সুন্দরবনের এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর জিতেছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর জেরে গোসাবায় উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। প্রয়াত জয়ন্তের স্থানে তাঁর ছেলে বাপ্পাদিত্য নস্করকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে আলোচনা শুরু হয়েছিল দলের অন্দরেই। স্থানীয় মানুষ এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশের সমর্থনও বাপ্পাদিত্যের দিকে ছিল। রবিবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোসাবার প্রার্থী নিয়ে বাপ্পাদিত্য এবং সুব্রত ( Subrata ) দুজনের নাম বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। শেষমেশ বাজিমাত করেন সুব্রত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই নিচুতলায় সংগঠনের কাজ করছেন সুব্রত। এই কেন্দ্রেরই বালি দ্বীপের বাসিন্দা তিনি। ২০০৮ সালে বালি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। পরে আরও দু’বার পঞ্চায়েত ভোটে জিতে ওই উপপ্রধানেরও দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ২০১১-য় ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছিল সুব্রতকে। ২০১৬-য় ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব সামলেছেন। জয়ন্তের মৃত্যুর পর তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।

প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের একাংশ। যদিও সে রকম কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন জেলা তৃণমূলের সভাপতি যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, ”তৃণমূলনেত্রী যাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন, তাঁকেই আমরা জেতানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ব। এ বার ব্যাবধান বাড়ানোই হবে প্রধান লক্ষ্য। জয়ন্তবাবুর উন্নয়নের ধারা বজায় রাখা হবে। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করব আমরা।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top