২১ শতকের সব থেকে ঠান্ডা বছর কি ২০২৩। কাশ্মীরের অনেক জায়গাতেই তাপমাত্রা চলে গিয়েছে হিমাঙ্কের নিচে। এই মুহূর্তে প্রবল ঠান্ডার কবলে কাশ্মীর। যার নাম হল চিল্লাই কালান। প্রায় ৪০ দিন ধরে চলা চিল্লাই কালানে তুষারপাত হয় সর্বাধিক। সাধারণভাবে চিল্লাই কালান শুরু হয় ২১ ডিসেম্বর এবং শেষ গয় ৩০ জানুয়ারি। এরপর সেখানে শুরু হবে কম ঠান্ডার চিল্লাই ক্ষুর্দ। তারপরে সেখানে ১০ দিনের চিল্লাই বাচ্চা চলবে। অন্যদিকে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে ঘন কুয়াশার জেরে সড়ক ও রেল চলাচল ব্যাহত।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা অক্ষরেখা হিসেবে অবস্থান করছে। এছাড়া উত্তর রাজস্থানের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। লাদাখ, গিলগিট, বালতিস্তান, মুজফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে এবং উত্তরাখণ্ডে বিচ্ছিন্নভাবে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি কর্নাটকের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ থেকে প্রবল শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে উত্তর রাজস্থানের কোনও কোনও জায়গায়।
১৫,১৬,১৭ জানুয়ারি শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে। ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি এই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে মধ্যপ্রদেশে।এই সময় কুয়াশা এবং শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে গাঙ্গেয় সমতলে। ১৩-১৭ জানুয়ারির মধ্যে বিহারের অনেক জায়গাতেই ভারী কুয়াশা থাকতে পারে। এছাড়া রাতে ও সকালের দিকে কুয়াশা থাকতে পারে উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, ওড়িশা, অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরায়।
আরোও পড়ুন – মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এবার প্রবীণরা,নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ নভদীপ দাহিয়া বলেছেন, ১৪-১৯ জানুয়ারির মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ চলবে। এর মধ্যে ১৬-১৮ জানুয়ারি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা। এই সময় সমতলের কোনও কোনও জায়গায় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৪ ডিগ্রি নিচে নেমে যেতে পারে। এখানেই শেষ নয়, নভদীপ দাহিয়া বলছেন, যদি তা হয়, তাহলে ২০২৩-এর জানুয়ারি ইতিহাসে ২১ শতকের শীতলতম বছর হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকবে।