ফর্সা হতে কি লেবুর রস মুখে মাখা উচিত? ত্বকের যত্নে বেশ উপকারী হল লেবু। লেবুর একাধিক উপকারিতা রয়েছে। লেবুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন সি। যে কারণে তা মুখ পরিষ্কার করতে খুব ভাল কাজে আসে। ঘরোয়া টোটকার মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হল মধু আর লেবু। ট্যান তোলা থেকে ফরসা হওয়া, ইন্টারনেটে সার্চ করলে প্রথমেই যে টোটকা আপনি পাবেন তা হল মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে তা ত্বকে লাগানো। তবে লেবুর রস কি সত্যি মুখের জন্য ভাল? বিশেষত যাঁদের ত্বক সেনসেটিভ তাদের জন্য কি আদৌ উপকারী
লেবু অ্যান্টি ফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। লেবুতে থাকা অ্যাসিডিক উপাদান দাগ দূর করে। সেই সঙ্গে ত্বকের থেকে দাগ তুলে দিতেও সাহায্য করে এই লেবুর রস।সেনসেটিভ ত্বকে লেবু লাগালে সাইট্রিক অ্যাসিডের প্রভাবে চুলকুনি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পিগমেন্টেশনের জন্য সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
তাহলে কীভাবে লেবু লাগাবেন? মনে রাখতে হবে লেবুর রস সরাসরি ত্বকে দেওয়া চলবে না। বরং যতটা লেবুর রস দেবেন ঠিক ততটাই জল দিন। মধুর সঙ্গে মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও এই মিশ্রণ জল দিয়ে গুলে পাতলা করে নিতে হবে।তবে লেবু মুখে সরাসরি দেওয়ার আগে হাতে লাগিয়ে নিন। যদি হাতে লাল রঙের ফুসকুড়ি হয় তাহলে কিন্তু তা ভুল করেও মুখে লাগাবেন না।
আরও পড়ুন – কেন পালন করা হয় পৃথিবীর জন্মদিন? কবে বিশ্ব বসুন্ধরা দিবস ?
ত্বকে লেবুর রস লাগানোর আগে বা পরে কী করবেন? প্রথমেই ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এবার সেখানে লেবুর প্যাক লাগান। তারপর ১০-১৫ মিনিট রেখেই জল দিয়ে ধুয়ে নিন। আর সবশেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। কারণ লেবুর রস ত্বককে ড্রাই করে দেয়। নষ্ট করে দেয় স্বাভাবিক ময়েশ্চারাইজার।