ডিএ অনশন মঞ্চে নওশাদ সিদ্দিকিকে আচমকা গায়ে হাত তুললেন এক যুবক !ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের একাংশ। শহিদ মিনারের কাছে ওই অবস্থান মঞ্চে গিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানেই তাঁকে আচমকা ধাক্কা দেন এক যুবক। শনিবার অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক হঠাৎ বিধায়কের সামনে গিয়ে উপস্থিত হন। মাইক হাতে তখন কথা বলছিলেন নওশাদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ‘‘উনি বিধায়ককে জিজ্ঞেস করেন, সংখ্যালঘুদের জন্য কী করেছেন?’’ জবাবের অপেক্ষা না করেই বিধায়ককে ধাক্কা দেন ওই যুবক। এর পর অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নিতে এগিয়ে আসেন মঞ্চে উপস্থিত কয়েক জন।
এদিন সকালে নওশাদ পৌঁছনোর পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। নওশাদ বলেন, ‘আমি আগেই এসে বলে গিয়েছিলাম একদিন অনশনে যোগ দেব। সেই মতো আজ অনশন করছি। সূর্যাস্ত পর্যন্ত নির্জলা থাকব।’ রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়ে নওশাদ ওই মঞ্চ থেকে বলেন, ‘সরকারের উচিত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে একটা টেবিলে আলোচনায় বসা ও সমাধান সূত্র বের করা। কিছু চাওয়া হলেই সরকার বলছে টাকা নেই। অথচ খেলা-মেলা করে প্রচুর টাকা অপাত্রে দান করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন – রাজধানীতে বসেই বিস্ফোরক কেষ্ট! ‘আমার কিছু করতে পারবেন না’, কেন? বললেন অনুব্রত
কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে নওশাদ বলেন, ‘এই দাবি যদি এখন মেনে না নেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে মঞ্চের বাইরে। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে আন্দোলনের রেশ। এটা শুধু সরকারি কর্মীদের সমস্যা নয়, এটা অনেক বৃহত্তর সমস্যা।’ উল্লেখ্য, শনিবার গণ অনশনের আহ্বান জানানো হয়েছে যৌথ মঞ্চের তরফে। অনশনকারীদের দাবি, শুধু নওশাদ নয়, আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেন এদিন। এছাড়া শনিবার থেকে ডিএ-র দাবিতে শুরু হচ্ছে সরকারি কর্মীদের ডিজিটাল স্ট্রাইক। কর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কোনও নির্দেশ আসলে, তা মানা হবে না। নিজেদের মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে ডেটা খরচ করে আর দফতরের কোনও কাজ করা হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে