‘দুর্নীতিগ্রস্তদের সম্পত্তি নিলামে তুলে টাকা আদায় করব’ সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে বেরিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুরে সভা মঞ্চ থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন’প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করে যারা বাড়ি,গাড়ি কিনছেন,পার্টি অফিসে এসি লাগাচ্ছেন।তাঁরা যেন প্রস্তুত থাকেন।আমরা ক্ষমতায় এসে সেই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কমিশন গঠন করব।তদন্ত করে সম্পত্তি নিলামে তুলে সেই দুর্নীতির টাকা আদায় করে ছাড়ব।’
নওশাদ দলীয় সভা মঞ্চ থেকে একদিকে যেমন তৃণমূলের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার দিয়েছেন,অন্যদিকে তেমনই দুর্নীতি ইস্যুতে ISF প্রার্থীদেরও স্বচ্ছ থাকার বার্তা দিয়েছেন।এমনকি, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত অসৎ নেতাদের দল থেকে তাড়িয়ে দিতেও তিনি যে দু’বার ভাববেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভাঙড়ের এই ISF বিধায়ক।
তিনি বলেন,’দুর্নীতি করলে কেউই ছাড় পাবেন না।সে আমাদের দলের নেতা কর্মীরাও না।আমি স্পষ্ট ভাষায় আমাদের দলের নেতা কর্মীদের বলে দিয়েছি,জনগণ আগে।সব কিছুর আগে জনগণের ভালো মণ্ড দেখতে হবে।তারপর সব কিছু।এরপরেও যদি দেখা যায় আমাদের দলের কেউ দুর্নীতি করছেন বা দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করছেন,তাহলে সেই নেতা বা কর্মীকে দল থেকে বের করে দিতে দুই বারও ভাবব না।’এদিন তিনি আশা প্রকাশ করেন,উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ISF পঞ্চায়েত ভোটে বড় জয় পাবে।
ভোট প্রচারে এসে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা ISF-এর চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ।এদিন তিনি আরও বলেন,’যাদের টাকা লুঠ করছেন,মনে রাখবেন সেটা জনগণের টাকা।এই টাকাতে শুধুমাত্র জনগণের অধিকার। কোনও নেতার অধিকার নেই।জনগণ ট্যাক্স দেয় যাতে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন,এলাকার উন্নতি হয়।আপনারা সেটার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন।কিন্তু সেই কাজ না করে আপনারা বছরের পর বছর শুধুই টাকা লুঠ করছেন।এটা আর চলতে দেব না আমরা।’
এরপরেই তাঁর সংযোজন,’পঞ্চায়েতে আমরা জিতলেই সমস্ত পঞ্চায়েত ধরে ধরে আগের দুর্নীতির তদন্ত করব।আর ক্ষমতায় আসার পরে কমিশন গঠন করা হবে।যারা যারা টাকা লুঠ করেছে, টাকা তাদে ফেরত দিতে হবেই।কেউ ছাড় পাবেন না।’