ভাঙড়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার ISF-এর জয়ী প্রার্থী। ভাঙড়ে লাগাতার হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এবার এক ISF নেতা তথা অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃতকে আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম অহিদুল ইসলাম মোল্লা।তিনি কাঁটাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ISF-র ভোগালী ২ নম্বর অঞ্চলের সভাপতি। এর পাশাপাশি এবারের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থীও।ভাঙড়ে ভোট পর্বে লাগাতার অশান্তি চলে।বোমাবাজি থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় এক ISF নেতা অভিযোগ করে বলেছেন,‘গোটা সময়টা ধরে তৃণমূল আমাদের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করল।আর এখন বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে ISF-র নেতা কর্মীদের।এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি।মানুষ সমস্ত ঘটনা দেখছেন।কার হামলা করেছে,আর কারা গ্রেফতার হচ্ছেন সেটা গোটা রাজ্যের মানুষ দেখছেন।তৃণমূলকে ভবিষ্যতে এর ফল ভুগতে হবে’।
ভোট গণনার দিনেও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়।ওই দিন ভোট গণনা কেন্দ্র কাঁঠালিয়া স্কুল ঘিরে ধরে বোমাবাজি থেকে গুলির লড়াই চলে।সেই ঘটনায় গুলিতে মৃত্যু হয় তিন জনের।আহত হয় পুলিশও।সেই সব ঘটনায় এবার এক ISF নেতা কে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,এই অহিদুলের বিরুদ্ধে এলাকায় অশান্তি ছড়ানো থেকে বোমাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে।তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁকে ধরতে তাঁর বাড়িতে একাধিক বার পুলিশ অভিযান চালালেও অহিদুলকে ধরতে পারেনি।কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বর্ডার এলাকা থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।ভোরে ভাঙড় থানায় রাখা হয়।
এরপর বারুইপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় ধৃতকে।রাতে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয় বোমা,বন্দুক কোথা থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল এবং আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় রাখা আছে। সেগুলির সন্ধান চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন – হিরো আলমের লাশ বুড়িগঙ্গার ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে গ্রেফতার ১
অহিদুলের গ্রেফতার হওয়ার কয়েক দিন আগেই ISF-র জেলা পরিষদ প্রার্থী জাহানারা বিবির স্বামী তথা ভোগালী ১ নম্বর অঞ্চলের ISF-র অঞ্চল সভাপতি কারিমুল ইসলাম সহ তিনজন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।এই ঘটনায় ষড়যন্ত্র দেখছে ISF-র নেতৃত্ব।