কেন স্বরা-ফহাদের বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা মুসলিম সংগঠনের? দিন কয়েক আগেই যুবনেতা ফহাদকে বিয়ের কথা জানিয়েছেন স্বরা। কবে কোথায় ফহাদের সঙ্গে আলাপ স্বরার? সমাজবাদী পার্টির মহারাষ্ট্র ও মুম্বইয়ের যুব সংগঠনের সভাপতি পদে আসিন রয়েছেন তিনি। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন স্বরা ভাস্কর ও তাঁর স্বামী ফহাদ আহমেদ। কখনও স্বরার পুরনো টুইটকে ঘিরে হচ্ছে হইচই আবার কখনও আবার ধর্ম নিয়ে উঠছে জিগির। তবে এবার স্বরা ও ফাহাদের বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা সর্বভারতীয় মুসলিম জামাতের সভাপতি মৌলানা শাহবুদ্দিন রজবির। শুধু রিজবিই নন, শিকাগোর স্কলার ডক্টর ইয়াসির নদিম আল ওয়াজিদিও এই বিয়েকে ইসলাম মতে অবৈধ আখ্যা দিয়েছেন। কেন? তাঁদের দু’জনেরই যুক্তি, শরিয়ৎ বিরোধী কাজ করেছেন স্বরা। ‘স্পেশ্যাল ম্যারেজ আক্টে’র মাধ্যমে বিবাহের ফলে ধর্ম পরিবর্তন করেননি অভিনেত্রী। গ্রহণ করেননি ইসলাম। আর সে কারণেই এই বিয়ে ইসলাম মতে বৈধ নয় বলেই তাঁদের দাবি। এ প্রসঙ্গে রজবি বলেন, “স্বরা ইসলাম কবুল করলেই এই বিয়ে বৈধতা পাবে।” অন্যদিকে নদিম টুইটে লেখেন, “আল্লা বলেন, মূর্তিপূজা করে এমন মহিলাকে বিয়ে কোরো না। তাই ওদের বিয়ে ইসলামে কবুল নয়।” যদিও তাঁদের এই মতের বিরোধিতা করেছেন ধর্ম নির্বিশেষে অনেকেই। ভালবেসে কেউ যদি একসঙ্গে থাকতে চান, তবে সমস্যা কীসের? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
২০২০ সালে মার্চ মাসে তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপে কথা শুরু হয়। বোনের বিয়েতে স্বরাকে আমন্ত্রণ জানান ফাহাদ। আসতে পারেননি স্বরা, শুটিং ছিল তাঁর। কিন্তু একটি বিড়ালই মিলিয়ে দেয় তাঁদের। শুরু হয় প্রেম। একসঙ্গে মিটিং, পায়ে হেঁটে মিছিল, ব্যারিকেড… হাতে-হাত…মিলে মিশে এক হয়ে যায়। আপাতত মার্চে বিয়ের অনুষ্ঠান করে বিয়ে তাঁদের। তার আগে জোরকদমে চলছে কটাক্ষ।
আরও পড়ুন – প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী সমাবেশের অনুমতি দিল না মেঘালয় সরকার,
দিন কয়েক আগেই যুবনেতা ফহাদকে বিয়ের কথা জানিয়েছেন স্বরা। কবে কোথায় ফহাদের সঙ্গে আলাপ স্বরার? সমাজবাদী পার্টির মহারাষ্ট্র ও মুম্বইয়ের যুব সংগঠনের সভাপতি পদে আসিন রয়েছেন তিনি। মিছিলেই আলাপ দু’জনের। মিছিল থেকেই শুরু বন্ধুত্ব। স্বরার চেয়ে বয়সে বেশ কয়ের বছরের ছোটই তিনি। বন্ধুত্ব যে কখন প্রেমে গড়িয়ে গেল তা বুঝতে পারেননি দুজনের কেউই। বুঝতে যখন পারলেন তখন আর সময় নষ্ট নয়। জীবন একসঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।