ফের মঙ্গল যাত্রার প্রস্তুতি শুরু ইসরোর

ফের মঙ্গল যাত্রার প্রস্তুতি শুরু ইসরোর

চন্দ্রযান ৩ ও আদিত্য এল ১ -এর পর শুক্রে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল ইসরো। তারপর ফের  আবারও সুখবর শোনাল ভারতীয় গবেষণা সংস্থা ইসরো।  এবার আরও এক অভিযানের কথা ঘোষণা ইসরোর। প্রথম মঙ্গল অভিযান সফলের পর ফের একবার মঙ্গল অভিযানে নামছে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এটা ইসরোর দ্বিতীয় মঙ্গল অভিযান। নয় বছর আগে প্রথমবার মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে রকেট পাঠিয়েছিল ইসরো।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান নিয়ে এবার কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মার্স অরবিটার মিশন-২ বা মঙ্গলযান-২ পাঠানোর প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। এই অভিযানে ইসরো তাদের মহাকাশযানে মোট ৪টি পে-লোড পাঠাবে। এই পে-লোড মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা করবে। একদিকে যেমন ধূলিকণা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। তেমনই লাল গ্রহের আবহাওয়া ও পরিবেশ নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।

 

উল্লেখ্য, নয় বছর আগে, গত ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর প্রথম প্রচেষ্টাতেই ইসরো মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে রকেট পাঠিয়েছিল। ছয় মাসের সময়সীমার এই মিশন ৭ বছর অবধি অর্থাত্‍ ২০২১ সাল অবধি মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরেছিল ওই রকেট। প্রথম প্রচেষ্টায় ইসরোর এই মিশন সফল হয়েছিল।

 

ইসরো সূত্রে খবর, দ্বিতীয় মঙ্গল অভিযানে লাল গ্রহের কক্ষপথে ছড়িয়ে থাকা ধূলিকণা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এটিকে মোডেক্স নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেডিয়ো অকুলেশন গবেষণা, এনার্জেটিক আয়ন স্পেক্রোমিটার ও ইলেকট্রিক ফিল্ড গবেষণাও করা হবে। ইসরো সূত্রে খবর, দ্বিতীয় মঙ্গল অভিযানে লাল গ্রহের কক্ষপথে ছড়িয়ে থাকা ধূলিকণা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এটিকে মোডেক্স নাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রেডিয়ো অকুলেশন গবেষণা, এনার্জেটিক আয়ন স্পেক্রোমিটার ও ইলেকট্রিক ফিল্ড গবেষণাও করা হবে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরোর এক কর্মী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পে-লোডগুলি তৈরি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেগুলি বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পে-লোডগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরোর এক কর্মী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পে-লোডগুলি তৈরি করা শুরু হয়ে গিয়েছে। সেগুলি বিভিন্ন ধাপে রয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পে-লোডগুলি তৈরি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

 

ইসরোর তরফে এনার্জেটিক আয়ন স্পেক্রোমিটারও তৈরি করা হচ্ছে সৌরশক্তি কণা ও সুপ্রা-থার্মাল সৌর বাতাস নিয়ে পরীক্ষা ও গবেষণা করার জন্য। এই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা বোঝার চেষ্টা করবেন যে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে কেন পরিবর্তন হয়েছিল।

en.wikipedia.org