পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, যুব সমাজকেই দায়িত্ব নিতে হবে পাড়ায় পাড়ায় বোনেদেরকে রক্ষা করার। শ্যামপুরের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য অরূপ রায়ের। সারা পশ্চিমবাংলায় যত পুলিশ বাহিনী আছে তাদের একার পক্ষে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় গ্রামের ভিতরে কোথায় কি হচ্ছে তা জানা সম্ভব নয়। এটা আমাদের যুব সমাজকেই দায়িত্ব নিতে হবে পাড়ায় পাড়ায় বোনেদেরকে রক্ষা করার।
হাওড়ার শ্যামপুরের ঘটনা নিয়ে ওই মন্তব্য করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। বুধবার বিকেলে হাওড়া বইমেলার উদ্বোধনে এসে হাওড়ার শ্যামপুরের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অরূপ রায় বলেন, “এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। গত ৩৪ বছরে বহু ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়
ঘটনা ঘটছে। সারা পশ্চিমবাংলায় যত পুলিশ বাহিনী আছে তাদের একার পক্ষে প্রত্যেক গ্রামে গ্রামে প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় গ্রামের ভিতরে কোথায় কি হচ্ছে তা জানা সম্ভব নয়। এটা আমাদের যুব সমাজকেই দায়িত্ব নিতে হবে পাড়ায় পাড়ায় বোনেদেরকে রক্ষা করার। শ্যামপুরের ঘটনায় অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ধরনের ঘটনাকে বরদাস্ত করা হবেনা।” রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের জেরক্স মেশিন হয়ে গিয়েছে বলে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত যে মন্তব্য সংবাদমাধ্যমে করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অরূপ রায় বলেন,”আমরা তো রাজ্যপালকে পাঠাইনি। রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেছেন।
দিল্লি থেকে ওনাকে পাঠানো হয়েছে। রাজ্যপালের দায়িত্ব হচ্ছে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করা। উনি সেটাই করছেন। উনি যদি সেটা করে থাকেন সেটা অন্যায় কোথায় করছেন ? অন্যায় তো কিছু করেননি তিনি।” উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে শরৎ সদন প্রাঙ্গনে হাওড়া বইমেলার সূচনা করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। বইমেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত চলবে এই বইমেলা। প্রতিদিনই মেলার মঞ্চে থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হাওড়ার সমস্ত বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিকরা উপস্থিত থাকবেন এই বইমেলায়। মেলায় মিলবে বিভিন্ন রকম গুরুত্বপূর্ণ বই।
এদিন বইমেলার উদ্বোধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী, হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, সমীর পাঁজা, প্রিয়া পাল, মেলা কমিটির তরফে উপস্থিত ছিলেন শ্যামল মিত্র, সুশোভন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। মূলত হাওড়া জেলা বইমেলা এবার হাওড়া গ্রামীণে অনুষ্ঠিত হওয়ায় হাওড়া শহরবাসীর মধ্যে একটা চাপা অসন্তোষ ছিল। দাবিও তোলা হয়েছিল। তাই হাওড়া শহরে মানুষের সেই ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে হাওড়ার শরৎ সদন প্রাঙ্গনে আজ ২৫ জানুয়ারি থেকে হাওড়া বইমেলা শুরু হয়েছে।