বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেলেন বিজেপি নেতার ছেলে, নর্মদা নদীতে তলিয়ে গেলেন বিজেপি নেতার ছেলে। নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন বিজেপি নেতার (BJP Leader) ছেলে। তাঁর আরও এক বন্ধুও নদীতে ডুবে গিয়েছেন। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) জব্বপুর (Jabbalpur) জেলায়। নর্মদা নদীর (Narmada River) দাদ্দা ঘাটে স্নান করতে নেমেই দুই বন্ধু তলিয়ে গেলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনাটি রবিবার ঘটলেও দেহ দুটি উদ্ধার হয়েছে সোমবার।
প্রসঙ্গত, নর্মদা নদীতে বিভিন্ন সৈকতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা যেন বেড়েই চলেছে! গত এপ্রিলে দুই সৈকতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল মুম্বইয়ের মহিম দরগার পিছনে আরব সাগরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরের। পরে বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশন তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নাবালকটিকে উদ্ধার করলেও বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আবার গত মাসেই বিশাখাপত্তনমে রামকৃষ্ণ সৈকতের কাছে নদীতে নেমে তলিয়ে যান পলিটেকনিকের এক ছাত্র। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে গত ১০ বছরে আরব সাগরের বিভিন্ন সৈকত ও বিশাখাপত্তনমের মধ্যে ২০০-র বেশি জনের ডুবে মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে কেবল রামকৃষ্ণ সৈকতে মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম অতুল প্যাটেল এবং অনুরাগ লোধি। দুজনেই জব্বলপুর জেলার বাসিন্দা। জব্বলপুর (গ্রামীণ) জেলা বিজেপি সভাপতি শিব প্যাটেলের ছেলে অতুল। রবিবার নর্মদা নদীর দাদ্দা ঘাটে স্নান করতে নেমেই তলিয়ে যান অতুল ও অনুরাগ। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন – কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি খুঁজে নিন, বেশি ডিএ পাবেন, মমতার নতুন বার্তা
মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান বিনোদ গোইতা বলেন, প্রথমে অনুরাগ জলে ডুবে যান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তলিয়ে যান অতুল। তিনি সাঁতার জানতেন না। ফলে নদীতে ডুবে যান। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর প্রশাসনের তরফে নদীতে তল্লাশি চালানো হয়। তারপর অতুল ও অনুরাগের নিথর দেহ উদ্ধার হয়।