বলা হচ্ছে ধাক্কা মেরে ফেলেছে। কারা কারা আছে? ২২ অগস্ট অবধি পুলিশ হেফাজতে সৌরভ চৌধুরী, যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ চৌধুরীরে জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। ২২ অগস্ট পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন কোর্ট লকআপ থেকে বেরোনোর সময় সৌরভ দাবি করেন, ‘আমি নিরপরাধ, আমি নিরপরাধ, আমি নিরপরাধ।’ ইতিমধ্যেই সৌরভের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, তিনজন পড়ুয়ার জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মারা যান স্বপ্নদীপ। এই ঘটনায় যে তিনজনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, সূত্রের খবর, তাতে মানসিক নির্যাতনের তত্ত্ব সামনে এসেছে।
সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, ‘বাবা আগে আসেনি সত্যি। তিনজন পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সুপারেরও বয়ান রেকর্ড হয়েছে। বলা হচ্ছে ধাক্কা মেরে ফেলেছে। কারা কারা আছে? ঘটনার পুনঃনির্মাণ করতে হবে। এই ঘটনার মোটিভ জানতে হবে। অভিযুক্তকে সত্যি কথা বলানোর জন্য সময় লাগবে। যে ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার কল লিস্ট বের করব আমরা।’ বিচারক জানতে চান, তদন্তকারী অফিসারের কিছু বলার আছে কি না। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন করছি।’ সবপক্ষের সওয়ালজবাব শুনে ২২ তারিখ অবধি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন – রেলওয়ে স্টেশনে সস্তায় ও সহজে ওষুধ কিনতে পারবেন যাত্রীরা
এদিন সৌরভ চৌধুরীর আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, স্বপ্নদীপের বাবা কোনওদিনই যাদবপুর আসেননি। স্বপ্নদীপ ৩ তারিখ ভর্তি হন। ৬ তারিখ যাদবপুরে ক্লাস করতে আসেন। যাদবপুর মেন হস্টেলে ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে সৌরভ চোধুরী ও মনোতোষ মণ্ডল স্বপ্নদীপকে সহযোগিতা করেছিলেন। ওই ঘরে বিমান বলে একটি ছেলে থাকতেন। সৌরভ মৃত ছাত্রের ক্লাসমেটও ছিলেন না, রুমমেটও না। ১০ তারিখ যে ফোন থেকে স্বপ্নদীপ ফোন করেন সেটাও সৌরভের ফোন নয়। বাবার মনে হয়েছিল ছেলে হতাশাগ্রস্ত। এমনকী পড়ে যাওয়ার পরও যে ফোন বাড়িতে যায়, তাও সৌরভের ফোন নয়। সৌরভকে ফাঁসানো হচ্ছে।