প্রমাণ লোপাট করতে হোয়াটসঅ্যাপে ‘JUMH’ গ্রুপ, ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন সৌরভ চৌধুরী, চাঞ্চল্যকর তথ্য , হোয়াটসঅ্যাপে তৈরি হয়েছিল গ্রুপ। সেখানে চালাচালি হত মেসেজ, কীভাবে তদন্ত প্রভাবিত করা যায়। সেই গ্রুপে ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন সৌরভ চৌধুরী। যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু সামগ্রীও। শুক্রবার আলিপুর আদালতে এই মামলার শুনানিতে বিষয়টি উল্লেখ করেন সরকারি আইনজীবী। এই মামলার তদন্তে আগেই আদালতে সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তদের সফল অপরাধী কিন্তু ব্যর্থ অভিনেতা বলে কটাক্ষ করেছেন। ছাত্রমৃত্যুর এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেও কটাক্ষ করেছেন। শুক্রবার সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রকে মারা হয়েছে।
ধৃত সৌরভ চৌধুরীকেই গোটা ঘটনার কিংপিন বলেছেন সরকারি আইনজীবী। যদিও সৌরভ আগেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। সৌরভের আইনজীবী শুক্রবার আলিপুর আদালতের শুনানিতে তাঁর মক্কেলের জেল হেফাজতের আবেদন জানান। জেলে গিয়ে যাতে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তার আবেদন জানান। তবে পরবর্তী শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌরভের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জেলের ভিতরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। এর আগেই সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে নগ্ন করে তিন তলার বারান্দায় হাঁটানো হয়েছিল। সৌরভই গোটা পরিকল্পনার কিংপিন।
আরও পড়ুন – নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গণে মানবজাতি কল্যাণ সমিতিকে দুর্গাপুজোর নির্দেশ আদালতের
সরকারি আইনজীবী জানান, একটি গামছা উদ্ধার হয়েছে। যেটা দিয়েই মৃত ছাত্রের মুখ চাপা দেওয়া হয়েছিল। সেই রক্ত মাখা গামছা ও ২ টো ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মেসেজ চালাচালি হত। আইনজীবীর দাবি, সেখানে তদন্ত প্রভাবিত করার প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফোনে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সৌরভের সেই গ্রুপে ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন ।মাঝেমধ্যে সেই গ্রুপে অ্যাক্টিভ হতেন নির্দেশ দেওয়ার জন্য। সরকারি আইনজীবীর দাবি, “ছাত্রমৃত্যুর পর সৌরভ চৌধুরীকে বাঁচাতে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র হয়েছিল। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।” হস্টেলে সৌরভ থাকেন কিনা,সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে কী বলা হবে, তা সবই সেই গ্রুপে লেখা হত।পরে প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে সেই গ্রুপ ডিলিট করে দেওয়া হয়।