পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অনলাইন দর্শনে ডোনেশনের নামে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নেওয়ার অভিযোগ,মুখ খুলল মন্দির কর্তৃপক্ষ,ঘরে বসেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দর্শন করার সুযোগ পান লাখ লাখ দর্শক।এই দর্শন সম্পূর্ণরূপেই বিনামূল্যে।এর জন্য অনলাইনে ডোনেশন দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।বিভ্রান্তি দূর করে স্পষ্ট জানাল শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে,সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অনলাইন দর্শনের জন্য ডোনেশনের নাম করে একাধিক প্রতারনা চক্রের হদিশ মিলেছে।ভক্তদের থেকে অনলাইন দর্শনে ডোনেশনের নাম করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারকরা।একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে এবার মুখ খুলল জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
কী ভাবে অনলাইনে মিলবে জগন্নাথদেবের দর্শন?
বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনলাইনে জগন্নাথদেবের দর্শন পাওয়া যায়।ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ মন্দিরের দ্বার খোলে।সেই থেকেই দর্শন শুরু হয়। অনলাইনের মাধ্যমে ভক্তরা ঘরে বসেই দেখতে পারেন জগন্নাথদেবের মঙ্গলারতি।সকাল ৮টা থেকে ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পোশাক পরিবর্তন আচারের জন্য অনলাইন দর্শন বন্ধ থাকে।
এরপর সকাল ১১টা থেকে নটমন্দিরে সকাল ধূপ পুজোর সাক্ষী থাকতে পারেন ভক্তরা।বেলা ১টা নাগাদ ভোগ নিবেদন করা হয় জগন্নাথদেবের সামনে।ততক্ষণ দর্শনের সুযোগ পান ভক্তরা। এরপর ফের অনলাইনে জগন্নাথ দর্শন করা যায় দুপুর ২টো থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত।রাত ৮টায় চন্দন লাগি আচারের জন্য বন্ধ থাকে অনলাইন দর্শন।
কী ভাবে ডোনেশন দেওয়া যায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে?
শ্রী জগন্নাথ মন্দির টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নামে ডোনেশন করতে পারেন জগন্নাথদেবের ভক্তরা।ন্যূনতম ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ডোনেশন দিতে পারেন ভক্তরা। মন্দির সংস্কারের জন্য ৫০০ টাকা থেকে ডোনেশন দেওয়া শুরু করতে পারেন তাঁরা।
এ ছাড়াও পুরীর মন্দিরে ডোনেশন সেলে এসে সশরীরে অর্থদান করতে পারেন ভক্তরা।এ ছাড়াও ভক্তরা ড্রাফ্ট,চেক কিংবা মানি অর্ডার করতে পারবেন।শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ওয়েবসাইটের এর বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
আরও পড়ুন – গুরুর পদতলে তারকা স্পিনার কুলদীপ যাদব!
জানা গিয়েছে,সম্প্রতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অনলাইন দর্শনের জন্য ডোনেশনের নাম করে একাধিক প্রতারনা চক্রের হদিশ মিলেছে।ভক্তদের থেকে অনলাইন দর্শনে ডোনেশনের নাম করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রতারকরা।একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে এবার মুখ খুলল জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।