জম্মু-কাশ্মীরেও? রাতারাতি চওড়া হল ২১টি বাড়ির ফাটল, ভেঙে পড়ল একটি বাড়ি
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরতে শুরু হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার পাহাড়ে ধস নামে, এরপরই বাড়িগুলিতে ফাটল চওড়া হয়। একটি বাড়ি ভেঙেও পড়ে।
জোশীমঠের আতঙ্ক এবার উপত্যকায়। জম্মু-কাশ্মীরেও (Jammu Kashmir) একাধিক বাড়িতে দেখা দিল ফাটল (Cracks)। ভেঙে পড়ল একটি বাড়িও। জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায়(Doda) কমপক্ষে ১৯টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। ফাটল ধরেছে একটি মসজিদ ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। যে বাড়িগুলিতে জোশীমঠের (Joshimath) মতোই ফাটল দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে একটি বাড়ি চলতি সপ্তাহেই ভেঙে পড়ে। ভূমিধসের জেরে ডোডার নাই বস্তি গ্রামের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে ১৯টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে, তাদের আপাতত অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিকাংশ বাসিন্দারাই নিজেদের আত্মীয়দের বাড়িতে থাকছেন। ইতিমধ্য়েই ডোডা জেলা প্রশাসনের তরফে গোটা এলাকা ঘুরে দেখা হয়েছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার তরফেও একটি দল পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য।জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল মোট ২১টি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও অবধি পরিস্থিতি একই রয়েছে বলে জানা গিয়েছে, নতুন করে ফাটল ধরেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরতে শুরু হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার পাহাড়ে ধস নামে, এরপরই বাড়িগুলিতে ফাটল চওড়া হয়। একটি বাড়ি ভেঙেও পড়ে। বর্তমানে ২১টি বিল্ডিংয়ে ফাটল ধরেছে। সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট অথর আমিন জারগার বলেন, “একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরা খবর পাওয়ার পরই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ১৯টি বাড়ি অসুরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সুরক্ষিত স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ও সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্টও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন এবং যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।”
আরও পড়ুন- আদানি গোষ্ঠীতে রয়েছে আড়াই লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার!
জোশীমঠের মতো পরিস্থিতি হতে পারে, এই ভেবে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন এখনই উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতির সঙ্গে কাশ্মীরের পরিস্থিতির তুলনা করতে রাজি নন। তাদের দাবি, ভূমিধসের কারণেই এই বাড়িগুলিতে ফাটল দেখা গিয়েছে। চেনাব ভ্যালি পাওয়ার প্রজেক্ট এবং ন্য়াশনাল হাইওয়ে অথারিটি অব ইন্ডিয়ার জিওলজিস্টরাও এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন।