প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ জটু লাহিড়ি। টানা ৫বারের বিধায়ক ছিলেন তিনি,মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। যদিও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিন সকালে মৃত্যু হয় এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের।রাজনৈতিক জীবনে তাঁর হাতেখড়ি কংগ্রেসের হাত ধরে। দীর্ঘদিন ধরে শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে জিতে শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক হন। পরে কংগ্রেস ভেঙে গঠন হয় তৃণমূল। তখন তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দেন। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ৫ বার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। ২০২১ সালে বিধাসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টিকিট না পেয়ে শেষে বিজেপিতে যোগ দেন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি।কিন্তু দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিবিদ বিজেপির টিকিটে তাঁর পুরনো আসনে আর জিততে পারেননি। তার পর থেকে আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। সম্প্রতি তিনি শারীরিক অসুস্থতাতেও ভুগছিলেন।
হাসপাতালেও বেশ কিছু ভর্তি ছিলেন। পরে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এদিন সকালেই মৃত্যু হয় রাজ্য রাজনীতির বহুদিনের পুরনো এই রাজনীতিবিদের।
আরও পড়ুন – ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানালেন কানাই মণ্ডল
প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী আগেই মারা গিয়েছেন। এক মেয়েকেও হারিয়েছিলেন তিনি। রেখে গেলেন, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনিকে। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, গত বছরই বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এর জেরে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন জটু লাহিড়ি। তারপর থেকেই শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়েছিল তাঁর। সে সময় জটু লাহিড়ির মাথায় অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল বলেও জানা যায়।
(সব খবর, ঠিক খবর প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )