মনে করলেন ইতিহাস!পাকিস্তানে গিয়ে পাক সরকারকে তোপ জোর গলায় কি বললেন জাভেদ আখতার?

মনে করলেন ইতিহাস!পাকিস্তানে গিয়ে পাক সরকারকে তোপ জোর গলায় কি বললেন জাভেদ আখতার? ২৬/১১ মুম্বই হামলার চক্রীরা এখনও পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ তাই এ নিয়ে ভারতীয় ক্ষোভ প্রকাশ করলে পাকিস্তানিদের খারাপ লাগা উচিত নয়৷ লাহোরের মাটিতে দাঁড়িয়েই একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানিদের এ কথা মনে করিয়ে দিলেন গীতিকার এবং লেখক জাভেদ আখতার৷

 

 

 

 

বিখ্যাত উর্দু কবি ফৈয়জ আহমেদ ফৈয়জের স্মরণে তিন দিনের একটি সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তানের লাহোরে গিয়েছিলেন জাভেদ আখতার৷ সেখানেই ফৈয়জ ফেস্টিভ্যাল ২০২৩ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন একজন পাকিস্তানি নাগরিক জাভেদ আখতারের উদ্দেশ্যে দর্শকাসন থেকে বলেন, তিনি যেন ভারতে শান্তির বার্তা নিয়ে ফিরে এসে সবাইকে বোঝান যে পাকিস্তান বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক একটি দেশ৷

 

 

 

জবাবে রাখঢাক না করেই জাভেদ আখতার বলেন, ‘আমাদের পরস্পরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই৷ তাতে সমস্যার সমাধান হবে না৷ পরিবেশ ঠান্ডা হওয়া উচিত৷ আমরা তো বম্বের (মুম্বই) বাসিন্দা৷ আমরা দেখেছি ওখানে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছিল৷ হামলাকারীরা তো নরওয়ে, মিশর থেকে আসেনি৷ তারা এখনও আপনাদের দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ ফলে এটা নিয়ে যদি ভারতীয়দের মনে ক্ষোভ থাকে, তাহলে আপনাদের খারাপ লাগা উচিত নয়৷’ জাভেদ আখতার বলেন, ‘মেহেদি হাসানকে ভারতে শ্রদ্ধার চোখে দেখা হত৷ তিনি যখন ভারতে গিয়েছিলেন, শাবানা (আজমি) অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, আমি অনুষ্ঠানের জন্য লেখালেখি করেছিলাম৷ ওই অনুষ্ঠানে লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলে উপস্থিত ছিলেন৷ যখন ফৈয়জ সাহেব ভারতে যান, মনে হয়েছিল কোনও রাষ্ট্রনেতা এসেছেন৷ সর্বত্র তা দেখানো হয়েছিল৷ কিন্তু পি টিভি-তে আপনারা কখনও সাহির লুধিয়ানভি, কাইফি আজমি অথবা আলি সর্দার জাফরির সাক্ষাৎকার দেখেছেন? ভারতে কিন্তু তা দেখানো হয়েছে৷ ভুল বোঝাবুঝি দু’ দিকেই আছে৷ হয়তো আপনাদের দিক থেকে একটু বেশি আছে৷ তিনি আরও বলেন, ‘নুসরত ফতেহ আলি খান, মেহেদি হাসানরা বরাবর ভারতে অন্যরকমের সম্মান পেয়েছেন৷ তাঁরা ভারতে এসে অনুষ্ঠানও করেছেন৷ কিন্তু পাকিস্তান কোনও দিন লতা মঙ্গেশকরকে অনুষ্ঠান করার জন্য ডাকেনি৷’

 

আরও পড়ুন –  শাহরুখের বিরুদ্ধে FIR করবেন বললেন এক ব্যক্তি! কেন এমন বললেন ওই ব্যক্তি?…

 

২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল দশ জন পাকিস্তানি জঙ্গিদের একটি দল৷ সেই হামলায় মোট ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়৷ ৩০০ জন আহত হন৷ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৯ জন জঙ্গির মৃ্ত্যু হয়৷ জীবিত অবস্থায় ধরা পড়ে আজমল কাসাভ৷ ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর তাঁর ফাঁসির সাজা হয়৷