টলিউড হোক বা বলিউড, বিয়ের পর তারকাদের মধ্যে বিচ্ছেদটা যেন এখন স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রেম থেকে বিয়ে, তার চারবছর কাটতে না কাটতেই আচমকাই বিচ্ছেদের খবর জানায় জিতু নবনীতা। দু-জনের ছাদ আলাদা হয়েছে আগেই, এখন আইনতও আলাদা হয়েছে তাঁদের পথ। গত জুন মাসের শেষে ডিভোর্সের ঘোষণাটা ফেসবুকে সেরেছিলেন নবনীতা। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে জিতু-নবনীতার ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের দেওয়ালে উঠে এসেছে একের পর এক রহস্যময় পোস্ট। থেকেছে বহু ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তাও। জিতু-নবনীতার বিয়ে ভাঙতে না ভাঙতেই নায়িকার পরকীয়ার চর্চাও জোরালো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন শুভমান গিল, কবে ফিরছেন ড্রেসিং রুমে
এই সব কিছুর মধ্যেও জিতু তার সোশ্যাল ওয়ালে কখনও লিখেছেন, ‘একাকিত্বই আরেক ধরনের শক্তি।’ আবার কখনও নবনীতার ইনস্টাগ্রামে উঠে এসেছে প্রাক্তন শ্বশুর-শাশুড়ির ছবি। বাদ পড়েননি জিতুও। এর মাঝেই মঙ্গলবার ফেসবুকের দেওয়ালে বিরক্তি প্রকাশ করলেন জিতু। নায়কের দাবি, এতদিনে তাঁর কোনও পোস্টই নাকি নবনীতাকে উদ্দেশ করে লেখা নয়। পুরোটাই নাকি মিডিয়ার ‘ভ্রান্ত ধারণা’।
এদিন ফেসবুকের দেওয়ালে জিতু লেখেন-‘তোমাকে ভুলতে চাই। তোমার কাছ থেকে এতদূরে পালাতে চাই যেখানে রাবণের মতো বিংশতি শ্রবণ পেলেও তোমার কথা আমাকে শুনতে হবে না।’ এই হৃদয় নিংড়ানো বার্তা শেয়ার করে জিতু প্রশ্ন রাখেন- ‘উক্তিটি কার উদ্দেশ্যে,কে বলেছিলেন? কেন বলেছিলেন জানলেও বলুন দেখি….’।
জিতুর প্রশ্নের জবাবে অনেকেই ব্যক্তিগত ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। লেখেন- ‘সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক এই কামনা করি’। যা দেখে বিরক্তির সুরে অভিনেতা লেখেন-‘উত্তরটা জানলে বলুন, পার্সোনাল ব্যান্ডেজ দেবেন না’।
এরপর নিজেই জবাব দিয়েছেন জিতু। লেখেন- ‘উক্তিটি, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর। রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে বলা।কবিতা লেখার প্রাক্কালে, কবিগুরু এতটাই আছন্ন হয়ে থাকতেন সৌমিত্র বাবুর মন জুড়ে, যে নিজের সৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটতো। তাই তিনি এই উক্তিটি করেন। দয়া করে পার্সনাল জায়গায় না গিয়ে, একটু চর্চা আদান-প্রদান করি। গত ৫ মাসের কোনো পোস্টই নবনীতা কেন্দ্রিক নয়। ওটা আপনাদের আর কিছু ডিজিটাল চ্যানলের ভ্রান্ত ধারণা।’
‘অর্ধাঙ্গিনী’ (২০১৮) ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে। সেইসময় নবনীতাই বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছিল জিতুকে। পর্দার ঈশ্বরী-আয়ুশ প্রেম গড়ায় বাস্তবেও। যার পরিণতি বিয়ে। ২০১৯ সালের ৬ মে অগ্নিসাক্ষী রেখে নবনীতাকে বিয়ে করেছিলেন জিতু। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। আলাদা হল ছাদ ২০২৩ সালে এসে। চার বছরের বিবাহবার্ষিকীর দেড় মাস পরেই অভিনেত্রী ফেসবুকে লেখেন, ‘আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, গ্যাস বুকিং থেকে মেডিক্লেম পে সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো.. তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই…..প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক… ভালো থেকো জিতু কমল।’ গত সপ্তাহে জিতু ও তাঁর বাবা-মা’র সঙ্গে ছবি পোস্ট করে নবনীতা আফসোসের সুরে লিখেছিলেন- ‘এবারের পুজোটা তোমাদের ছাড়াই কাটবে’।