৫টি বুলডোজার এনে ভেঙে দেওয়া হল বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার কার্যালয়, গত ২৪ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য। সেই মত ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কার্যালয়টি বাঁচিয়ে রাখতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জোৎস্না বিবি। বহু টালবাহানার পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ওই কার্যালয়টি। বেআইনি জায়গায় কার্যালয়টি তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই কারণেই কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হল সেটি। গত ২৪ তারিখ কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য। সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কার্যালয়টি বাঁচিয়ে রাখতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও গিয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান জোৎস্না বিবি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার অন্তর্গত ডাকবাংলার হিমঘর সংলগ্ন এলাকায় গড়ে উঠেছিল কার্যালয়টি। আদালতের নির্দেশ গত মে মাসের ২৪ তারিখ তা ভাঙতে আসে পুলিশ। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বর কাছে বাধা পেতে হয়। জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার প্রক্রিয়া দেখে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন পঞ্চায়েতের প্রধান জোৎস্না বিবি। শফিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল সরকারি জায়গার উপর তৈরি করা হয়েছে ভবনটি। এই বিল্ডিং-এরই একপাশে ছিল তৃণমূল পার্টি অফিস।
আরও পড়ুন – কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে সিটকে সাহায্য করছে না রাজ্য পুলিশ! সিবিআই তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বেআইনি এই নির্মাণটি পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভাঙার কাজ শুরু হয়। ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণের কার্যালয়টি। যদিও, বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এটি কোনও দলীয় কার্যালয় ছিল না। এখানে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি চলত। তৃণমূলের কার্যালয় বলে এটাকে দলের দুর্নাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।