যাদবপুরের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে ১০ ছাত্রকে ডাকা হলেও হাজিরা দিল না থানায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল ডেপুটি কমিশনারের। কিন্তু একজন ছাত্রও উপস্থিত হননি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ছাত্রদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে বিব্রত পুলিশ। শীর্ষ কর্তাদের ইঙ্গিত পর্যাপ্ত সহযোগিতা মিলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। জানা যাচ্ছে, পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছে হস্টেল সুপারের ভূমিকাও। এক ছাত্র রাত ১০টার সময়ে ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে ফোন করেন। ওই ছাত্র জানিয়েছিলেন, যে হস্টেলে কিছু গুরুতর সমস্যা হচ্ছে।
যাঁদের তদন্তের স্বার্থে ডাকা হয়েছিল, কেন তাঁরা এলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের ধারা রুজু করেছে পুলিশ। এই প্রতিবেদনটি যখন প্রকাশিত হয়েছে, তখন রাজ ভবনের ভিতরে যাদবপুরের অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল (Cv Ananda Bose)। বৈঠকের বিষয় ‘অ্যান্টি র্যাগিং’। সূত্রের খবর, দু’জন চিকিৎসককে ডাকা হয়েছে। একজন মনোরোগ চিকিৎসক, একজন মনোবিদ রয়েছেন বৈঠকে।
সূত্রের খবর, ‘ডিন অব স্টুডেন্টস’ ফোন পাওয়ার পর হস্টেল সুপারকে ফোন করে দ্রুত যেতেও বলেছিলেন। এমনকি যে ছাত্র ফোন করেছিলেন, তাঁর ফোন নম্বরও দেওয়া হয় হোস্টেল সুপারকে। সূত্রের খবর হোস্টেল সুপার কিছু সময় পরে ‘ডিন অব স্টুডেন্ট’কে জানান যে অস্বাভাবিক কিছু নেই।
আরও পড়ুন – যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন মমতার, নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
সেখান থেকেই হোস্টেল সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। কীসের ভিত্তিতে হস্টেল সুপার সমস্যা নেই বলে জানালেন? আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে এর পরেও ‘ডিন অব স্টুডেন্টস’কে কয়েকজন ফোন করেছিলেন। কিন্তু ডিন সেই ফোন তোলেননি। সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
( সব খবর ,ঠিক খবর ,প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)