পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-কেই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ, মামলায় যুক্ত করা হল ইডিকে, তদন্তকারী সংস্থা প্রয়োজন মনে করলে ৩৫০ জন শিক্ষককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে পোস্টিং দুর্নীতি মামলার শুনানিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি এদিন স্পষ্ট করে দেন, যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁদেরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন তদন্তকারীরা। বিচারপতি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, যদি এই প্রক্রিয়া করতে হয়, তাহলে সাত দিনের মধ্যেই করতে হবে। আগামী ২৮ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগে পোস্টিং দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই রাতেই প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন। তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, জেলের সুপার কোনওভাবেই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদে বাধা দিতে পারবেন না। মানিক ভট্টাচার্য যাতে সুপ্রিম কোর্টের থেকে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ না নিতে পারেন, তাই ওই রাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলার ৪০০ জনের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা করে বদলি করানোর জন্য নেওয়া হয়েছিল। এজলাসে বসে সে কথা জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই ক্ষেত্রে পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। তবে সিবিআই তদন্তের ওপর নয়।
এদিনের শুনানিতে এই মামলায় ইডি-কে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, সুপ্রিমকোর্ট নির্দেশ অনুযায়ী, তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। অভিযুক্ত শিক্ষকরা চাইলে মামলার নথি সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরাজি সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। সেখানে মামলা ও মামলাকারীর নম্বর থাকবে।
আরও পড়ুন – স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে যাদবপুরে ঢুকেই অ্যান্টি-ভায়োলেন্স ডে ঘোষণা রাজ্যপালের
বিচারপতি আরও নির্দেশ দিয়েছেন, যদি এই প্রক্রিয়া করতে হয়, তাহলে সাত দিনের মধ্যেই করতে হবে। আগামী ২৮ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।