নিয়োগ মামলায় সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ পর্ষদের সভাপতিকে

যোগেশচন্দ্র মামলায় সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

নিয়োগ মামলায় মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে আজ সন্ধ্যে ৬ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে পারেন বলেও জানিয়েছে আদালত। প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।  ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় এদিন সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ মামলায় বিচারপতি সিনহাকে শুনতে হবে কুন্তলের কথা, ডিভিশন বেঞ্চ

সূত্রের খবর, আদালতে জমা দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্টে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর শিট তৈরি করেছিল যাতে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর কোনও কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। এমনকী পর্ষদের কাছে ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলেও তাঁরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকেই ডিজিটাইজ ডাটা হিসাবে চালানোর চেষ্টা করেছে।

 

শুনানিতে বিচারপতি জানান, সিবিআইয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এই দুর্নীতিতে পুরোপুরি যুক্ত ছিলেন। শুধু তাই নয় দুর্নীতির বিষয় সামনে আসার পরও বর্তমান বোর্ড মেম্বাররা এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানিকেই ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে। সেই জন্যই তাঁদের জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে এদিন এজলাসে উল্লেখ করেন বিচারপতি।

 

এরপরই পর্ষদের বর্তমান সভাপতি  গৌতম পাল ও সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে আজ থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। এজন্য গৌতম পালকে বুধবার, চতুর্থীর সন্ধে ৬ টার  মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানায়, সিবিআই যদি মনে করে সেক্রেটারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন তাহলে পরে তাঁকে ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। যদি তাঁরা সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁদের হেফাজতে  নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পূর্ণ স্বাধীনতা সিবিআইকে দিয়েছে আদালত।

 

একই সঙ্গে আদালত জানায়, সিবিআই যদি মনে করে সেক্রেটারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন তাহলে পরে তাঁকে ও বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। যদি তাঁরা সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁদের হেফাজতে  নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পূর্ণ স্বাধীনতা সিবিআইকে দিয়েছে আদালত।

en.wikipedia.org