কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ‘চাপ’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিচারপতির ,সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা বাড়ছে, ‘রাজ্যে সিবিআই-এর হাতে অনেক মামলা। চাপও অনেক বেশি।’ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ শান্তনু পান্ডা ও কাকলি পান্ডার দায়ের করা দুটি মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি মান্থা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শান্তনু পান্ডা ও কাকলি পান্ডা। তাঁদের দাবি, তাঁদের বারবার মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআই-কে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সিবিআই তদন্তের কথা পরে জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
আবার অন্য একটি মামলায় ওই একই অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জোর করে জাল নথিতে সই করিয়েছেন এক মহিলাকে দিয়ে। কেন তাঁর বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ সামনে আসছে, তা আদালতে হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানাতে হবে তিন সপ্তাহের মধ্যে। আদালতের নির্দেশ, কেনও ওসি-র চেম্বারে সিসিটিভি নেই, সেই ব্যাপারেও পুলিশ সুপারকে বক্তব্য জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। আগামিদিনে সিবিআই-কে তদন্ত হস্তান্তরের বিষয়ে বিবেচনা করবে আদালত।
বিচারপতির মন্তব্য, অনেকেই আদালতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা করছেন, আর রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দল হলে তো তিনি সেই দাবিতেই অনড় থাকছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে সত্যি তদন্ত সিবিআই কে দেওয়ার পিছনে যথেষ্ট যুক্তি থাকছে বলেও দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এদিন স্বীকার করেছেন সিবিআই অফিসারের সংখ্যা অনেক কম।
আরও পড়ুন – ‘ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা, পুতিন-হত্যায় ব্যর্থ ইউক্রেন’, বিস্ফোরক দাবি রাশিয়ার
অন্যদিকে, এই মামলায় বিপাকে পড়েছেন কাঁথি থানার আইসি। কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তুলেই মামলা করেছেন দুই মামলাকারী। একটি মামলায় তিনি ১৬০ ধারায় একজনকে সাক্ষী হিসেবে তলব করেছিলেন। সাক্ষ্য নেওয়ার সময়েই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওসি-র বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বস্তিকর বলে মনে করছে আদালত।