অয়ন শীল এবং শ্বেতা চক্রবর্তীর সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন এলাকাবাসীরা ,এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসা অব্যাহত। এবার হুগলির প্রমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর দুর্নীতিতে যোগ উঠে এসেছে রহস্যময়ী নারীর যোগ। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে এখনও অবধি। তার মধ্যে এই বান্ধবীর নামেও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। তবে কে এই বান্ধবী? সূত্রের খবর, অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি পুরসভার ঠিক উল্টোদিকে জগন্নাথ নিকেতনে তাঁদের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি জেলাপাড়াতে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছিলেন তাঁর বাবা। ওই বান্ধবী অয়নের প্রোমোটারির ব্যবসা সামলাতেন বলে সূত্রের খবর। এলাকার লোকজন জানতেন ওই তরুণী মডেলিং করেন। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে যাতায়াতও করতেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিন মহিলার নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এরইমধ্যে একটি আবার বান্ধবীর অ্যাকাউন্ট বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডির অনুমান, এই বান্ধবীর সঙ্গে অয়নের আর্থিক লেনদেন ছিল। সেই টাকা নিয়োগকাণ্ডের বলেও মনে করছে তারা।
আরও পড়ুন – আবারও পিছল ডিএ মামলার শুনানি,এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য পিছল ডিএ মামলা
ইডি-র তরফে এই মহিলাকে অয়নের বান্ধবী হিসাবে দাবি করা হলেও জগন্নাথ নিকেতনের আবাসিকরা বলছেন কিন্তু অন্য কথা। তাঁদের বক্তব্য অয়ন শীল এবং শ্বেতা চক্রবর্তী আবাসনে মামা-ভাগ্নির পরিচয়ে থাকতেন। সূত্রের খবর, যদিও অয়নের স্ত্রী এবং পুত্র থাকেন হুগলিতে। আবাসনের এক আবাসিক জানান, “এক বছর আগে এখানে এসেছিল অয়ন শীল। আমরা জানি ওরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নি। আমাদের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা করতেন না। ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দিত। শুনেছি ওদের এখানে একটি ফ্ল্যাট ছিল। তবে বছর খানেক অয়নকে দেখিনি। গত সপ্তাহে গাড়ি নিয়ে শ্বেতাকে আসতে দেখেছি।”