‘অপহরণ’কাণ্ডে নতুন মোড় দেখা দিতেই কুণালকে চ্যালেঞ্জ কান্তির, বললেন ‘প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’, পঞ্চসায়রের ঘটনাকে সামনে রেখে সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে (Kanti Ganguly) আক্রমণ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় কাল থেকে বহু কথা বলছিলেন। বাম জমানায় তিলজলার ওসি গঙ্গাধর ভট্টাচার্য খুনে ওনার নাম জড়িয়েছিল।” এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, এই ঘটনায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল। অভিযুক্তর তালিকায় তাঁর নাম ছিল না।
পঞ্চসায়র এলাকায় বিরোধী চার প্রার্থীর ‘অপহরণ’কাণ্ডে নতুন মোড় দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তিন বিজেপি প্রার্থী ও এক বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী পঞ্চসায়র থানার অফিসার-ইনচার্জকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁদের অপহরণ করা হয়নি। স্বেচ্ছায় গত বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িতে উঠেছিলেন তাঁরা। তবে এ নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা থামছে না। এই ঘটনাকে সামনে রেখে সোচ্চার হন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়।
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি ওরা প্রমাণ করতে পারে রাজনীতি ছেড়ে দেব। ওই কেসে আমি সাক্ষী ছিলাম। এই কুৎসিত কুৎসা তো দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। আমি ওদের কাছে চ্য়ালেঞ্জ করছি, যদি ওই কেসে আমি কোনওদিন আসামি হয়ে থাকি, অভিযুক্ত হয়ে থাকি, কোনও প্রমাণ দেখাতে পারে চিরকালের মতো রাজনীতি ছেড়ে দেব। হিম্মত হবে ওদের? আরএন চৌধুরী আলিপুর কোর্টের সেশন জাজ আমাকে সাক্ষী হিসাবে ডেকেছিলেন।”
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন জড়িত, পুলিশ প্রশাসনও দায়িত্ব পালন করেনি। থানার ওসিও করেননি। আসলে এবার তো বোর্ড গঠন হবে। ওখানে বিরোধীরা সিংহভাগ। সেই ভয়ে এসব করেছে শাসকদল।”
আরও পড়ুন – চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন অসুস্থ বুদ্ধদেব , এখন কেমন আছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য? শারীরিক…
এদিন কুণাল ঘোষ বলেন,“পুলিশ যদি যোগাযোগ করে থাকে তাহলে অপহরণ কীভাবে হল? আত্মগোপন আর অপহরণ তো এক নয়।” যদিও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, “যারা কিডন্যাপ হয়েছে তাদের দিয়ে এরকম একটা স্টেটমেন্ট করানোতেই পুলিশ সন্তুষ্ট হয়ে গেল?পুলিশের তো নিজেদের উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টা দেখা উচিত ছিল।কোন গাড়ি ছিল,কারা ছিল,কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা দেখা উচিত ছিল। একটা চিঠিতে সব হয়ে যায়।”