‘টাকা বেশি হলে অহংঙ্কার বাড়ে’, কাকে বললেন স্পষ্টবাদী কপিল দেব? স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব (Kapil Dev)। কখনও সখনও অপ্রিয় সত্যি কথা মুখ থেকে বেরিয়ে যায় তাঁর। ভারতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রশংসা যেমন করেন তেমনই সমালোচনায় বিদ্ধ করতেও ছাড়েন না। এ বার কপিলের নিশানায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের ক্রমেই বেড়ে চলা রোজগার নিয়ে। তাঁর মতে, সবকিছুর মূলে রয়েছে অর্থের দম্ভ। রোজগার বেড়ে যাওয়ায় অহংঙ্কার বেড়ে গিয়েছে বর্তমান ক্রিকেটারদের। এখনকার ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেছেন তিনি। কিন্তু একইসঙ্গে উত্তরসূরিদের সবজান্তা ভাব নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট কপিল। দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় দলের ক্যাবিনেটে নেই আইসিসি ট্রফি। ক্ষোভ উগরে দিয়ে কপিল বলছেন, “এখনকার ক্রিকেটাররা প্রাক্তনদের দ্বারস্থ হয়ে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না।”
কপিল দেবের কথায়, “বেশি অর্থ পেয়ে গেলে অহংঙ্কার বাড়ে। এখনকার ক্রিকেটাররা মনে করে ওরা সবকিছু জানে। আমার মতে, এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছে যাদের সাহায্যের প্রয়োজন। সুনীল গাভাসকর রয়েছেন, তাঁর পরামর্শ কেন চায় না? এত কীসের ইগো? আসলে ওরা মনে করে, ‘আমরা যথেষ্ট ভালো’। সেটা হতেই পারে। তবে ক্রিকেটে ৫০টি মরসুম কাটানো কারও সাহায্য নিলে, তাঁর পরামর্শ শুনলে তোমাদের ভাবনাচিন্তা বদলে যেতে পারে।”
আরও পড়ুন – ওডিআই বিশ্বকাপ নিয়ে দর্শকদের জন্য বিশেষ বার্তা, কি জানালেন জয় শাহ?
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড হল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের দৌলতে প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করে বিসিসিআই।বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে থাকা ক্রিকেটাররাও বড়সড় রকমের অর্থ পান।এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের মাধ্যমে অর্থ রোজগার তো রয়েছেই। বিরাট কোহলি,রোহিত শর্মারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। বোর্ড আর্থিক দিক থেকে কোনওরকম খামতি না রাখলেও ভারতীয় ক্রিকেটকে আইসিসি ট্রফি দিতে অপারগ বর্তমান ক্রিকেটাররা। একের পর এক আইসিসি টুর্নামেন্ট থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।কিংবদন্তি কপিল দেবের মতে,অর্থই অনর্থের মূল। তিনি বলেছেন,“এখনকার ক্রিকেটারদের ভালো দিকটি হল ওরা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।আর খারাপ দিকটি হল-ওরা নিজেদের সবজান্তা মনে করে।ওরা এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে কারও কাছে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করে না।যেখানে আমাদের মনে হয়, একজন অভিজ্ঞ মানুষ তাদের সাহায্য করতে পারেন।”