সরকারি নির্দেশ না মানায় কর্নাটক হাই কোর্টের নির্দেশে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে টুইটারকে।কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশ কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল টুইটারকে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কর্নাটক হাই কোর্টে যায় টুইটার। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা দীক্ষিতের পর্যবেক্ষণ সরকারি নির্দেশ না মেনেই আদালতের কাছে এসেছে টুইটার।
সরকারের তরফে আদালতে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আর শঙ্করনারায়ণ। তিনিও এই যুক্তি দেন যে সংবিধানে উল্লিখিত ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের অধিকার পেতে পারে না টুইটার। উল্লেখ্য যে, ভারতের ‘সংহতির জন্য হানিকর’ কিছু টুইটার অ্যাকাউন্টে আপত্তিকর টুইট দেখে, অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। টুইটারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, ব্যবহারকারীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার। সরকারের তরফে আদালতে জানানো হয়, আপত্তিকর টুইটগুলোর কোথাও ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীর’ ব্যবহার করা হয়েছে, আবার কোথাও এলটিটিই নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হয়েছে। টুইটারের তরফে বিদেশি সংস্থা হিসাবে সমতার অধিকার দেওয়ার জন্যও সওয়াল করা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশও খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য যে, কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা সফরে গিয়ে টুইটার এবং টেসলা কর্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। নিজেকে মোদীর ‘অনুরাগী’ বলে দাবি করা মাস্ক ভারতে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন – জেড থেকে জেড প্লাস, নিরাপত্তা আরও বাড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের,
উল্লেখ্য যে, এই মামলার শুনানি গত ২৩ মে শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন। শুক্রবার এই মামলার রায়দান করে আদালত। বিস্তারিত রায়ের কপি প্রকাশ্যে না এলেও জানা গিয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার যে যুক্তি টুইটারের তরফে দেওয়া হয়েছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, যে সাংবিধানিক অধিকার ভারতীয় নাগরিকেরা পেয়ে থাকেন, বিদেশি সংস্থা হিসাবে সেই অধিকার পেতে পারে না টুইটার।