রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্তে পাচার হচ্ছে কাতল-ইলিশ। কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে মায়ানমার- মনিপুরের সীমান্ত দিয়ে পাচার হচ্ছে কাতল ও ইলিশ মাছ । অভিযোগ, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এইভাবে মাছ পৌঁছে যাচ্ছে সহজেই শিলিগুড়িতে। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতিদিন কুড়ি টনের মত মাছ ঢুকছে শিলিগুড়ি শহরে।সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন স্থানীয় মহাজনারা।
আগে এইসব মহাজনেরা বৈধ কাগজপত্ত দিয়ে মাছের করবার করতেন।কিন্তু করোনাকলে যা থমকে যায়।ফলে ঘুরপথেশিলিগুড়ি থেকেই চক্রের মাধ্যমে ইলিশ কাতল পাচার হয়ে যাচ্ছে রাজ্যে ও ভিন রাজ্যে।বিশেষ সূত্রের আরও খবর এই চক্রের সঙ্গে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের জনৈক মহাজনযুক্ত রয়েছেন। যেখানেই সরাসরি পাচার হয়ে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।আড়তে ও পাঠানো হচ্ছে। মনিপুর মায়নামার মাও সীমান্ত হয়ে মাছ পাচার হয়ে শিলিগুড়িতে ঢুকছে বলে খবর।
পশ্চিমবঙ্গ অসাম ও মনিপুর সহ কয়েকটি রাজ্যে মাছ পাচার করার উদ্দেশ্যে শিলিগুড়িকে চক্রের মূল টার্গেট করা হয়েছে।সীমান্ত পথে তেমনি আসামে এই মাছ আসছে যাত্রীবাহী বাসে করে বলে অভিযোগ। মনিপুর ও নাগাল্যান্ডের মধ্য দিয়ে মাছ নিয়ে যাত্রী বাহ বাস আসামে ঢুকছে।যাত্রী নামিয়ে এরপর আসামের বাসগুলি সংশ্লিষ্ট মহাজনের আড়তে পৌঁছে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি হতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে কাতল ও ইলিশ।এই বিষয়ে দার্জিলিং জেলাশাসকের বক্তব্য, বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখবেন।
জানা গিয়েছে থার্মকলের বাক্সের ওজন থেকেই অনুমান করা যায় মাছ পাচার হচ্ছে। ভারত মায়নামার থেকে আসা থার্মোকলের বাক্সগুলি ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়। কিন্তু এ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাক্স গুলি ওজন হয় ৪০ কেজির মত।গোটা মাছের ওজনের ও রয়েছে ফারাক।ব্যবসায়ী সমিতির বক্তব্য , আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বিষয়টি ভয়াবহ। সরকারকে এ বিষয়টি দেখা উচিত এ বিষয়ে শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট সচিব তমাল দাস বলেছেন, কিভাবে মাছ সীমান্ত হয়ে ঢুকছে তা তাদের জানা সম্ভব নয়।
অবশ্যই আগামী দিনে রিলেটেড মার্কেটে মাছ ঢোকার সময় আমরা তদন্ত করে দেখব। শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট হোলসেল ফিস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ,তারা এই বিষয়টি জানার পরেই সকলকে ময়নামার থেকে পাচার হয়ে আসা মাছ না কিনতে বলেছেন। এর পরেও যদি কেউ মাছ বিক্রি করে তাহলে প্রশাসন সক্রিয় হলে আমরা আর তার পাশে থাকবো না।