মোহর-দুর্নিবারের বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে কেন ক্ষমা চাইলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ? প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারীর সঙ্গে দুর্নিবার সাহার বিয়ে। সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে কটাক্ষের মুখে পড়তে হল পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সহকারী মোহর সেন। তার সঙ্গে ৯ মার্চ সাত পাকে বাঁধা পড়লেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। গানের কারণে খ্যাতি রয়েছে তাঁর। তবে দু’বছরের মাথায় দু বার বিয়ের পিঁড়িতে বসায় সমাজমাধ্যমে বেশ চর্চায় থাকেন দুর্নিবার। ধুমধাম করেই বিয়ে হয় মোহর-দুর্নিবারের। ইন্ডাস্ট্রি প্রায় একটা বড় অংশ নিমন্ত্রিত ছিল তাঁদের বিয়েতে। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ও নিমন্ত্রিত ছিলেন মোহর-দুর্নিবারের বিয়েতে। উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন নবদম্পতিকে সমাজমাধ্যমেই। তাতেই তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় কৌশিককে। শেষমেশ সমাজমাধ্যমে ক্ষমা চাইলেন পরিচালক।
এক বছর প্রেম পর্বের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন মোহর-দুর্নিবার। তার আগে ২০২১ সালে পেশায় শিক্ষিকা মীনাক্ষীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিয়ে সারেন শিল্পী। তবে বছর ঘোরার আগেই ভাঙন। তার পর মোহরের সঙ্গে প্রেম সেই নিয়ে নিন্দকদের নানা কথা। ঝড়ঝাপটা সামলে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন দুর্নিবার-মোহর।
পরিচালকের পোস্টে এসে কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘‘ছেলেরা কত সহজে সব ভুলে যায়’’, কারও মন্তব্য, ‘‘তৃতীয় বিয়ের সংবাদটা যেন তাড়াতাড়ি পাই,’’ কেউ লিখছেন, ‘‘ওঁর প্রথম স্ত্রীর জন্য খারাপ লাগে, দুর্নিবার সব সম্মান খুইয়ে দিল।’’ মন্তব্য বাক্সে এই ধরনের কমেন্টের বন্যা দেখে ময়দানে নামলেন পরিচালক। তাঁর ফেসবুক বন্ধুদের উদ্দেশে লেখেন, ‘‘আমি বেশ অবাক বেশ কিছু মন্তব্য দেখে! আমি পাত্রকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না।কাজের দৌলতে মোহর সঙ্গে পরিচয়। তাঁর তরফেই নিমন্ত্রণ ছিল,যাওয়া সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই সৌজন্যবোধে এই পোস্ট, আপনাদের রাগের উৎস নিয়ে অবগত নই। আমার শুভেচ্ছাবার্তা কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে দুঃখিত।’’
আরও পড়ুন – অস্বাভাবিক মৃত্যু সতীশ কৌশিকের ? দিল্লির ফার্ম হাউস থেকে সন্দেহজনক ওষুধ পেল..
৯ মার্চ মধ্য কলকাতার হোটেলে বসেছিল বিয়ের মণ্ডপ। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় বাদ ছিলেন না কেউই। সন্ধ্যা গড়াতেই একে একে হাজির হতে শুরু করেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। প্রসেনজিৎ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেন কন্যাসমা মোহরের। তবু নিন্দেমন্দ কম হচ্ছে না এই বিয়ে নিয়ে। সমাজমাধ্যমে একটা বড় অংশ সমব্যথী দুর্নিবারের প্রথম স্ত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের প্রতি। পরিচালক নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘‘মোহর ও দুর্নিবার শুভ বিবাহ। তোমরা ভাল থেকো, সুখে থেকো, আমার পরিবারের তরফে অনেক শুভেচ্ছা।’’ পরিচালকের শুভেচ্ছাবার্তা পেয়ে দুর্নিবার লেখেন, “আশীর্বাদ করো।” তাতেই যেন ঘৃতাহুতির মতো কাজ হয়েছে।