
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার রাজ্য জুড়ে পালিত হল ‘খেলা হবে’ দিবস ( Khela Hobe Dibas )। উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গ প্রতিটি জেলায় নেতা-মন্ত্রী বিধায়ক থেকে সাধারণ মানুষ সকলে শামিল হলেন খেলা দিবসের ( Khela Hobe Dibas ) সুস্থ থাকতে খেলার কোনো বিকল্প নেই তাই এই উদ্যোগে সকলেই যোগ দিলেন সাড়ম্বরে কোথাও হলো পৃথিবীর কোথাও আবার ফুটবল বিতরণ।
মালদা
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার পক্ষ থেকে সোমবার “খেলা হবে” দিবস ( Khela Hobe Dibas ) পালিত হলো। এদিন বিকেলে মালদা শহরের ফার্মের মাঠে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীরা খেলা হবে দিবসে যোগদান করেন । এই এলাকার মাঠে আধঘণ্টার ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয় । সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক – অশিক্ষক কর্মী ছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিয়েছিলেন। চরম উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরা খেলা হবে দিবস পালন করেন । যেখানে এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ আধিকারিকেরাও। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় খেলা হবে দিবস কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক – অশিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রীরাও।গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌরিন বন্দোপাধ্যায় বলেন, অলিম্পিকে স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত নীরাজ চোপড়াকে দেখে উৎসাহী হয়ে এই খেলা দিবসের আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতেই এদিন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রীরা একযোগে খেলা দিবস কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন । এদিন তৃণমূলের অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার পক্ষ থেকে খেলা দিবস কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঐক্যের বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
হাওড়া
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো সোমবার ১৬ আগস্ট সারা রাজ্যেই খেলা হবে দিবস পালিত হয়। এদিন বিকেলে হাওড়ার শৈলেন মান্না স্টেডিয়ামে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। ওই প্রীতি ম্যাচে মন্ত্রী অরূপ রায় একাদশের মুখোমুখি হয় হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন একাদশ। ম্যাচের ফল ছিল গোল শূন্য। ওই ম্যাচে অতীতের দিকপাল ফুটবলাররা অংশ নেন। সরকারি নিয়মানুযায়ী কোভিড বিধি মেনে এদিন খেলা হয়। স্টেডিয়ামে প্রায় ২ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন ফুটবল অ্যাকাডেমি, ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধিদের এই ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কোচ হিসেবে মাঠে উপস্থিত ছিলেন জহর দাস। অরূপ রায় একাদশের নেতৃত্ব দেন অরূপ রায় নিজেই। হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন একাদশের নেতৃত্ব দেন অমর গাঙ্গুলি। ম্যাচ পরিচালিনার দায়িত্বে ছিলেন ফিফা রেফারি সাগর সেন। এদিন ২৫ মিনিট করে ৫০ মিনিটের এক উপভোগ্য ম্যাচ হয়। অরূপ রায় একাদশে খেলতে নামেন বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ম্যাচটি শেষপর্যন্ত গোল শূন্য ভাবে শেষ হয়। হাওড়ার ২০টি ক্লাবকে এদিন ফুটবল প্রদান করা হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লক যুব ও ক্রীড়া দপ্তরএর উদ্যোগে ও কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির পরিচালনায় “খেলা হবে” দিবস উদযাপন উপলক্ষে সোমবার কেশপুর ব্লক এর শতাধিক ক্লাবকে ফুটবল প্রদান করা হলো। এছাড়াও ব্লক থেকে রাজ্য ও কেন্দ্র স্তরে অংশ গ্রহণ করার জন্য ১৩ জন খেলোয়াড় কে বিশেষ স্মারক ও উত্তরীয় দিয়ে সম্মান প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবী বর্ষীয়ান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন গড়াই। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেশপুর ব্লক যুব আধিকারিক পূর্ণেন্দু ঘোষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা দে সেনগুপ্ত, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শামসেদা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিক্ষক তথা কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি, সমাজসেবী শিক্ষক চিত্ত গড়াই, সমাপ্তি রায় সহ বিশিষ্টরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে ও সুললিত কণ্ঠে সঞ্চালনা করেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শামসেদা বেগম। সমাজসেবী উত্তমানন্দ ত্রিপাঠি বলেন, খেলা হবে দিবসে যুবশক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। তারাই সমাজের ভবিষ্যৎ।
দক্ষিণ 24 পরগনা
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ব্লক গুলিতে পালিত হল খেলা হবে দিবস।এদিন ক্যানিং পালিত হল খেলা হবে দিবস।সকালে ক্যানিং বাসষ্ট্যান্ডে খেলা দিবসের সূচনা করেন এসডিও আজহার জিয়া। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক পরেশরাম দাস সহ একাধিক সরকারী আধিকারীকগণ। এদিন খেলা হবে দিবস মঞ্চ থেকে এলাকার ২৪৫ টি ক্লাব কে ১ জোড়া করে ফুটবল উপহার তুলে দেওয়া হয়।অন্যদিকে সাগর বিধানসভা কেন্দ্রে রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা ফুটবলে শর্ট শুভ সূচনা করেন খেলা হবে দিবস।বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের ঝড়খালি অঞ্চলে বাসন্তী কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মন্ডল ফুটবল শর্ট মেরে খেলা হবে দিবসের শুভ সূচনা করেন।গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির ও খেলা হবে দিবসের সূচনা করেন জেলা পরিষদের সদস্য অনিমেষ মন্ডল।এছাড়া পাথর প্রতিমা,কাকদ্বীপ,কুলপি সহ বিভিন্ন ব্লক গুলিতে পালিত হয় খেলা হবে দিবস।