সামনেই পুজো। এর পুজো মিটলেই এবার শহর জুড়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। শহরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ জমা পড়ে কলকাতা পুরসভায়। এ বার সেই বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। সব ঠিকঠাক চললে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে পুজোর পর ফের বরোর আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকে কলকাতা পুরসভায় জমা পড়া বেআইনি নির্মাণের সব অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কামদুনি কান্ডে জাতীয় মহিলা কমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি মৌসুমী, টুম্পাদের
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি মেয়রের সাপ্তাহিক কর্মসূচি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে একাধিক বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগের ফোন আসে। ধারাবাহিক ভাবে এমন অভিযোগ আসায় পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। কলকাতা পুরসভার অভ্যন্তরীণ তদন্তের ভিত্তিতে বেআইনি নির্মাণের নজরদারিতে ঢিলেঢালা মনোভাবের অভিযোগে ১৬ জন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ করা হয়। সঙ্গে তিন জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেই সেই প্রক্রিয়া থেমে নেই বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। পুজো মিটে গেলেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। সেই বৈঠকে তিনিও হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পুরসভা এখন নকশার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত দিক থেকে নিয়ম অনেক শিথিল করেছে। এক কাঠা বা তার কম জায়গায় হলেও আইন মেনে বাড়ি করা যাচ্ছে। আমরা ১৬টি বরোর বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে আলোচনায় বসব। যাতে কেউ বাসিন্দাদের ভুল না বোঝান, সে দিকে পুরসভাকেই নজর দিতে হবে।’’
তবে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গিয়ে যাতে কোনও গরিব মানুষের বাড়ির উপর চাপ না পড়ে সে দিকেও সজাগ দৃষ্টি রেখে চলতে হচ্ছে। কারণ, ছোট জায়গায় যাঁরা বাড়ি তৈরি করছেন, তাঁরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেনির। তাই পুজোর পর যে বৈঠক হবে, তাতে এই বিষয়টিও আলোচিত হবে যে, পুরসভার কোনও পদক্ষেপে যাতে গরিব মানুষের কোনও কষ্ট না হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। তবে যাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপই নেবেন তাঁরা। এমনটাই জানাচ্ছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা।