Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 129
প্রশাসনের টনক না নড়লে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব

‘প্রশাসনের টনক না নড়লে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে বললেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার

‘প্রশাসনের টনক না নড়লে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে বললেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

‘প্রশাসনের টনক না নড়লে রাষ্ট্রপতির কাছে যাব’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে বললেন কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার ,রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জাতীয় এসসি কমিশনের (National Commission for Scheduled Castes) ভাইস চেয়ারম্যান। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে রাজভবনে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার (Arun Haldar)। বৈঠক সেরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। জানান, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে গত ২ বছর জাতীয় কমিশনের হয়ে পশ্চিমবঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। অরুণ হালদারের কথায়, বাধ্য হয়ে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর সংযোজন, “জাতীয় কমিশনকে এখানকার প্রশাসন অসহযোগিতা করছে, ওনারও চিন্তার বাইরে। উনি নিজেও একদিন প্রশাসনে ছিলেন। তাই আমার কাজটা অনেক সহজ হল। উনি বুঝেছেন। এই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, ডিজিপি সকলের সঙ্গেই কথা বলবেন। এটাও বলেছেন, প্রয়োজনে সমস্ত আধিকারিকদের ডেকে রাজভবনেই এসসি এসটি কমিশন কী, কীভাবে মানুষের সঙ্গে কাজ করা যায়, সরকারকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা যায় তিনি বৈঠক ডাকবেন। আমরাও আসব।” এর আগেও একাধিকবার অরুণ হালদার দাবি করেছেন, এ রাজ্যে তফশিলিদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। কমিশনকেও স্বাধীনভাবে কাজ না করতে দেওয়া, প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন। এদিনও রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারবার সে কথাই বললেন।

 

 

 

 

অরুণ হালদার এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন —
গত ২ বছরে বারবার নবান্নকে চিঠি লিখেছিলাম আমরা। আমি চাই প্রশাসন ও কমিশন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলায় ২২ শতাংশ তফশিলি মানুষের জন্য কাজ করুক। এই প্রথম কেউ বাংলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ হল, অথচ এই রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যে নিয়ম তা মানুষ জানে না। আমি চেয়েছিলাম প্রচারমূলক অনুষ্ঠান করতে। রাজ্যস্তর থেকে জেলাস্তরে। মানুষ জানুক এই কমিশন থেকে কীভাবে উপকৃত হতে পারেন। ২ বছরে করতে পারিনি।আমি ৭-৮টা জেলা ঘুরেছি। যখন মিটিং ডেকেছি, পুলিশ সুপার, জেলাশাসক অল্প সময়ের জন্য থেকে চলে যেতেন। এটা ঘুরিয়ে অসহযোগিতার বার্তা। সেই অসুবিধার কথা রাজ্যপালকে জানালাম।

 

 

 

 

 

ময়না ও কালিয়াগঞ্জে কীভাবে প্রশাসন যুক্ত জানালাম। উনি শুনে বিস্মিত হলেন। রিপোর্টও দিলাম। খুব সুন্দর আলোচনা হয়েছে রাজ্যপালের সঙ্গে। কমিশন এখানে কোনও রাজনীতি করতে আসেনি।আমি প্রশাসনের ভূমিকায় অত্যন্ত হতাশ। তা না হলে আজ রাজ্যপালের কাছে আসতে হতো না। সাংবাদিকদেরও কথা বলতে হতো না। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, নিয়ম যা আছে করবেন। আমাদের মধ্যেও কোনও হিংসা, বিদ্বেষ নেই। কোনও প্রতিহিংসারও ব্যাপার নেই।যেটা নিয়ম তা মেনেই আমরা কাজ করি, করবও। আধিকারিকরা রিপোর্ট না দিলে শুনানিতে ডাকা হবে। সেখানেও অনুপস্থিত থাকলে শমন পাঠাব। কমিশনের জুডিশিয়াল পাওয়ারও আছে।

 

 

আরও পড়ুন – বেঙ্গালুরুর রোড শো কেন স্পেশাল, পোস্ট করে জানালেন নরেন্দ্র মোদী

 

 

আমরা নোটিস দিচ্ছি। জবাবে সন্তুষ্ট না হলে DGP, CS কে ডাকব। দায় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তার থেকে জানতে চাইব।ধাপে ধাপে আমি যেতে চাই। যদি রাজ্যপালের নির্দেশে প্রশাসনের টনক নড়ে, পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রশাসন সহযোগিতা করে তা হলে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে না। যদি টনক না নড়ে শেষ চেষ্টা হিসাবে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাব। কারণ এখানে তফশিলি প্রাণের নিরাপত্তাহীনতা, জীবনের ঝুঁকি মুখ্য বিষয়। প্রতি মুহূর্তে খুন হচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য কমিশন আছে।
আমি ময়নার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে দেখি সকলে আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। অথচ কমিশনকে তাঁর কাছেই পাঠানো হল। কীভাবে ওনার কাছ থেকে তথ্য পাব? ওখানে দেহ লোপাট হল রাতের অন্ধকারে, পরিবারকে না জানিয়ে, রক্ত বালি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখল।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top