অঝোরে কাঁদতে থাকা কিশোরীকে মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর

অঝোরে কাঁদতে থাকা কিশোরীকে মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অঝোরে কাঁদতে থাকা কিশোরীকে মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিলেন কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর , মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই দাদুর মৃত্যু। বাড়ির সকলে গিয়েছেন অন্ত্যেষ্টিতে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থিনী কিশোরীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছিল ছাত্রী। শেষে তার পাশে দাঁড়ালেন কলকাতা পুলিশের এক ওসি। তাঁর জন্যই নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারল ওই ছাত্রী। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে সেই ঘটনা সম্বন্ধে। বাহবা জানিয়েছেন নেটিজেনরা।

 

 

 

বাড়ির এই পরিস্থিতিতে তার বেরতেও দেরি হয়েছে। ফলে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো অসম্ভব হয়ে দেখা দেয় কার্যত। তাই সাহায্যের আশায় কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছিল। পরিস্থিতি বুঝে কালক্ষেপ না করে নিজের গাড়িতে তুলে নেন শৌভিক। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে খবর দিয়ে তৈরি করান গ্রিন করিডোর। রাস্তায় কোথাও কোথাও এক মুহূর্ত না থেমে বিদ্যু‍তের বেগে গাড়ি পৌঁছে যায় পরীক্ষাকেন্দ্রে। তখন ঘড়িতে বাজছে সাড়ে এগারোটা। ঘটনার নাটকীয়তায় বিস্ময়ে হতবাক ওই পরীক্ষার্থী। কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে ফের কাজে ফিরে যান ইনস্পেক্টর শৌভিক চক্রবর্তী।

 

 

আরও পড়ুন – সাগরদিঘিতে ‘অবাধ ভোট হলে বিজেপির জয় নিশ্চিত’, জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

 

 

ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে শনিবার সকাল ১১.২০ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডে রাজা কাটরার কাছে টহল দিচ্ছিলেন হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর শৌভিক চক্রবর্তী। কর্তব্যরত অবস্থাতেই দেখতে পান স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরীকে। সে অঝোরে কাঁদছে। সাহায্য চাইছে এর ওর কাছে। তাকে জিজ্ঞাসা করে শৌভিক জানতে পারেন তার মাধ্যমিক পরীক্ষার আসন পড়েছে শ্যামবাজারের আদর্শ শিক্ষা নিকেতনে। কাঁদতে কাঁদতে কিশোরী জানায় সে নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা। তার পরিবারে সকলে দাদুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে গিয়েছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top