ভাঙড়ে নতুন আরও ৫ থানা তৈরির পরিকল্পনা পুলিশের, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি কলকাতা পুলিশের। ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।তারপরেই তোড়োজোড় শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।নবান্ন সূত্রে খবর ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর প্রশাসনিক ব্লকই কলকাতা পুলিশের আওতায় আসবে।এর আগে ২০১৭ সালে ভাঙড় ১ ও ২ নম্বর ব্লকের মোট চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে গঠিত কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানাকে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনা হয়েছিল।তবে ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবার আরও বড় পদক্ষেপ।শীঘ্রই ভাঙড়ে নতুন করে আরও পাঁচটি থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আর এখানেই শেষ নয়,আগামীদিনে ভাঙড়ের আট এবং প্রগতি ময়দান-সহ মোট ৯টি থানাকে নিয়ে পূর্ব শহরতলির এই অংশে নতুন পুলিশ ডিভিশন গড়ে তোলা হবে বলে সূত্রের খবর।তবে যতদিন না পর্যন্ত তা তৈরি হচ্ছে নিচ্ছে,ততদিন কলকাতা পুলিশের পূর্ব ডিভিশনেরই আওতায় থাকবে ভাঙড় এবং কাশীপুর থানা।
অতিরিক্তি থানা তৈরির পাশাপাশি এর যে অতিরিক্তক ফোর্স প্রয়োজন হবে,সেটির বিষয়ও মাথায় রাখা হচ্ছে।সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের আড়াই হাজার কনস্টেবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।সেক্ষেত্রে নয়া এই ফোর্স ভাঙড়ে নিয়োগ করা হতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।পাশাপাশি সাব ইন্সপেক্টর ও ড্রাইভারর মতো পদেও নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকালই আলিপুর বডি গার্ড লাইন্সে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে ভাঙড় নিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর,সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’বিষয়টি নিয়ে কলকাতার সিপির কিছু সমস্যা হবে।তবে আমি চাই,যেভাবে জেলা পুলিশ বারবার ফেল করছে,তাতে কলকাতা পুলিশই দায়িত্ব নিক।’মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরই ভাঙড়কে আরও পড়ুন অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে চূড়ান্ত আকার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন কলকাতার নগরপাল।লালবাজারে বসে বৈঠক।বর্তমানে ভাঙড় এলাকায় তিনটি থানা,সেগুলি হল কেএলসি,ভাঙড় এবং কাশীপুর।
আরও পড়ুন – ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় আনার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর,
জানা যাচ্ছে,মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে যা পরিকল্পনা হয়েছে তা হল,কেএলসি থানাকে ভেঙে আরও একটি,ভাঙড় থানা ভেঙে আরও দুটি এবং কাশীপুর থানা ভেঙে আরও দুটি নতুন থানা তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে।তবে পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে আরও থানা তৈরির সম্ভাবনা কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।