কলকাতায় পাকিস্তানি ‘স্পাই’!বিহারের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল পুলিশের STF,কলকাতায় পাক গুপ্তচর!এক ব্যক্তির গ্রেফতারির ঘটনায় ফের একবার এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।২৫ অগাস্ট শুক্রবার ভক্ত বংশী ঝা নামে বছর ছত্রিশের ওই যুবকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের STF।ওই ব্যক্তি বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর।দেশবিরোধী কার্যকলাপে সরাসরি যুক্ত থাকার জন্য ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।অভিযুক্ত দিল্লির এক কুরিয়র সংস্থার কাজ করতেন বলে খবর।
সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পাক নাগরিকদের নিয়োগের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন এক ব্যক্তি।ওই পাক নাগরিকরা ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে কর্মরত বলে দাবি করা। সেই মামলায় উষ্মাপ্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট।ঘটনার তদন্তভার প্রথম সিআইডির হাতে থাকলেও পরবর্তীকালে সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রাথমিক তদন্তের পর কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই জানায়, সেনবাহিনীতে কোনও পাক নাগরিক নিয়োগের হদিস পাওয়া যায়নি।তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে এই ধরনে কোনও নিয়োগ হলেও হতে পারে বলে জানায় CBI।এমনকী এই ঘটনায় প্রভাবশালী রাজনীতিক ও প্রশাসনের একাংশের জড়িত থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে খবর,ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে।দেশের গোপন তথ্য ছবি,ভিডিয়ো ও অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে সে শত্রু দেশের হাতে তুলে দিয়েছে,STF-র প্রাথমিক তদন্ত এমনটাই উঠে এসেছে। পুলিশের দাবি,ধৃত ব্যক্তি পাকিস্তানের হাতে গোপন তথ্য পাচার করত বলে জানা গিয়েছে।ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।শনিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে।ধৃত ব্যক্তি কী কী তথ্য পাচার করেছেন,খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন – উৎসব উপলক্ষ্যে ৩১২টি স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করার ঘোষণা করল ভারতীয় রেল,
উল্লেখ্য,সম্প্রতি কলকাতায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে থেকে এক পাকিস্তানি মহিলাকে সন্দেহজনকভাবে ঘুরতে দেখে আটক করা হয়।চলতি মাসের শুরুতেই ওই মহিলাকে কলকাতার মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে উদ্দেশ্যহীন অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা।তারপরই তাঁকে আটক করা হয়।STF ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।তারপর বছর কুড়ির ওই মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই মহিলা পেশায় একজন বিউটিশিয়ান ও তাঁর স্বামী স্থানীয় বাসিন্দা।ওই পাকিস্তানি মহিলার ভিসা ২০২৪ সাল অবধি বৈধ বলেও জানতে পারেন তদন্তকারীরা।