মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড় পদক্ষেপ পুলিশের, কালীঘাটের বেশ কিছু রাস্তায় জারি ১৪৪ ধারা , বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনের (DA Agitation) সুর ক্রমেই চড়াচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। শনিবার কলকাতার রাজপথে এক বিশাল মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। সেই মিছিল ঘিরে এদিন দিনভর সরগরম ছিল হাজরা এলাকা। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে গিয়েছে মিছিল। মিছিলের অভিমুখ ছুঁয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়াও। আর এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বড়সড় পদক্ষেপ করল লালবাজার। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আশপাশ বাদ দিয়ে কালীঘাটের বেশ কিছু এলাকায় জারি করা হল ১৪৪ ধারা। আপাতত ২ মাসের জন্য পুলিশের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত ওই এলাকা দিয়ে কোনও গাড়ি যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জমায়েতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কালীঘাটের বেশ কিছু রাস্তায়।
হরিশ মুখার্জি রোডকেই কেন আন্দোলনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল, এদিন সকালে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাষ্কর ঘোষ। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে গিয়েছিলাম, কিন্তু উনি দেখা করেননি। ভারতের পরম্পরায় আছে গৃহস্থের বাড়িতে কেউ এলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। তাই আমরা ওনার বাড়ির অফিসে দেখা করতে চাই। সেই কারণে এই পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।’
আজকের এই মিছিল ঘিরে গোটা দিন নজর ছিল হাজরায়। গোটা হাজরা চত্বরে গিজগিজ করছিল আন্দোলনকারীদের ভিড়। আর সেই মিছিল সামাল দিতে মোতায়েন ছিল সাদা পোশাকের পুলিশ, র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স।
আরও পড়ুন – মণীশ কোঠারিকে কত বেতন দিতেন অনুব্রত? ইডি-র চার্জশিটে চমকে দেওয়া অনেক তথ্য!
উল্লেখ্য সরকারি কর্মচারীদের এই মিছিল ঘিরে এদিন সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল কলকাতা পুলিশ। কোথাও যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হয়েছিল পুলিশের তরফে। কালীঘাট ফায়ার স্টেশনের সামনে মোতায়েন করা ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল পরিস্থিতি নাগালের বাইরে বেরিয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। কলকাতা পুলিশের সব ক’টি ডিভিশন থেকে ফোর্স নিয়ে আসা হয়েছিল আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে।