ডিএ নিয়ে সরকারকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর ,ক্ষমতা থাকলে কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ দিয়ে দেখাক, ডিএ-র (DA) দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ বনধ্ ডেকেছিল শুক্রবার। বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মী হাজিরা নিয়ে প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান ছিল নবান্নের। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এদিন সমস্ত সরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হবে। প্রত্যেক কর্মচারীকে যোগ দিতে হবে কাজে। কোনও কর্মচারী ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনও ধরনের ছুটি নিতে পারবেন না। এমনকী কেউ হাফ ডে ছুটিও নিতে পারবেন না। অফিস কামাই করলে তা ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’ বা কর্মজীবন থেকে একদিন বাদ হিসাবে গণ্য হবে বলেও জানানো হয়। তবে তারপর কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় স্কুল থেকে আদালতে পালিত হয়েছে বনধ্। এই ধর্মঘট নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “৬ লক্ষ সরকারি কর্মচারী শিক্ষক শিক্ষাকর্মী ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন। সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এই ধর্মঘট পালিত হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে বেতন কেটে বা ব্রেক ইন সার্ভিস করে দেখান। আমরা আছি ওদের পাশে।”
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “হাইকোর্ট আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দিচ্ছে। এসএসসি রিপোর্ট করছে যে এরা কোয়ালিফায়েড নয়, ওএমআরে গোলমাল আছে। নথি তথ্য হাতে নিয়ে হাইকোর্ট নির্দেশ দিচ্ছে। সেখানে তো বলার কোনও জায়গাই নেই।” একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতার দাবি, যেখানে যত ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, তার ৭৫ শতাংশই টাকার বিনিময়ে হয়েছে। বাকি ২৫ শতাংশ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন। যদিও এদিনের ধর্মঘট নিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এত প্ররোচনা সত্ত্বেও আজ সরকারি কর্মচারীরা ৯৫ শতাংশ উপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মীরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”
আরও পড়ুন – বিধানসভায় পার্থকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর,এক মাসের মধ্যে ঢুকিয়ে দেব, হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে ইডির দিল্লিতে তলব নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মেয়েকে ডেকেছে ঠিক আছে। তবে কার নির্দেশে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করেছে সেটাও তো জানা দরকার।” শুধু অনুব্রত বা ডিএ নিয়েই নয়, গ্রুপ সি-তে ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল নিয়েও সরব হন বিরোধী দলনেতা।