মা উড়ালপুলে চাপ কমাতে পার্ক স্ট্রিটট-মেয়ো রোড ব্যবহারের অনুরোধ কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের,স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার মাধ্যমে যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে গোটা শহরে।কিন্তু এর ব্যতিক্রম ভবানীপুর ট্র্যাফিক গার্ডের এ জে সি বসু রোড,ডি এল খান রোড ও হসপিটাল রোডের সংযোগস্থল।সেখানে এ জে সি বসু উড়ালপুল থেকে নামা ধর্মতলা এবং বি বা দী বাগমুখী গাড়িগুলিকে এখনও হাত দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা।
এর কারণ হিসাবে ট্র্যাফিক পুলিশের বক্তব্য,ওই রাস্তায় গাড়ির চাপ খুব বেশি থাকে।মা উড়ালপুল চালু হওয়ার পরে ই এম বাইপাস থেকে আসা গাড়ি সেখান দিয়ে এসে এ জে সি বসু উড়ালপুল ধরে খুব কম সময়ে বি বা দী বাগ পৌঁছে যায়।আর সেই চাপ সামলাতে গিয়েই ট্র্যাফিক পুলিশকে ওই অংশে হাত দেখিয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।গাড়ির চাপের জেরে যানজটও হয় ওই দুই উড়ালপুলে।
এ বার তাই ওই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে গাড়ির চাপ কমাতে ই এম বাইপাস থেকে বি বা দী বাগ- ধর্মতলামুখী গাড়িগুলিকে পার্ক সার্কাস থেকে পার্ক স্ট্রিট-মেয়ো রোড ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে।পুলিশের দাবি,এতে যেমন রাস্তার দূরত্ব কমবে,তেমনই গন্তব্যে পৌঁছতে সময়ও প্রায় একই লাগবে।
পুলিশের দাবি,মা উড়ালপুল চালু হওয়ার পরে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে,পার্ক স্ট্রিট,পার্ক সার্কাস কানেক্টর,চাউলপট্টি রোড, বেলেঘাটা রোডের মতো ই এম বাইপাসের সঙ্গে বি বা দী বাগের যোগাযোগের মূল রাস্তাগুলিতে গাড়ির চাপ কমে গিয়েছে ব্যস্ত সময়ে।উড়ালপুলে চাপ কমাতে ওই রাস্তাগুলি ব্যবহারে তাই জোর দেওয়া হচ্ছে।
ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান,বর্তমানে পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড় থেকে পার্ক স্ট্রিট-মেয়ো রোড দিয়ে ডালহৌসির দূরত্ব প্রায় পৌনে চার কিলোমিটার।ব্যস্ত সময়ে ওই রাস্তা পার করতে সময় লাগছে প্রায় ১২ মিনিট।আবার পার্ক সার্কাস থেকে এ জে সি বসু উড়ালপুল হয়ে বি বা দী বাগ পৌঁছতে সময় লাগছে প্রায় ১১ মিনিট।পেরোতে হচ্ছে প্রায় ছয় কিলোমিটার।তাই সকালের দিকে পার্ক স্ট্রিট ব্যবহার করে বি বা দী বাগ যাওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ভাম বিড়াল ও বেজি নিয়ে অভিযোগ এক মহিলা
একই সঙ্গে সল্টলেক-বেলেঘাটা থেকে আসা গাড়িগুলিকে বেলেঘাটা মেন রোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।উল্লেখ্য,পুলিশের একাংশের দাবি,ওই সব রাস্তায় ট্র্যাফিক সিগন্যাল বেশি থাকলেও রাস্তা তুলনামূলক ভাবে ফাঁকা থাকছে। তাই সময়ও একই লাগছে বলে পুলিশের দাবি।