লাহোর হাইকোর্টে বড় জয় ইমরানের ,এখনই গ্রেফতার নয়

লাহোর হাইকোর্টে বড় জয় ইমরানের ,এখনই গ্রেফতার নয়, বুধবার লাহোর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে তোশাখানা মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।মঙ্গলবার বিকেলের সংঘর্ষের পর, বুধবার লাহোর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে, তোশাখানা মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ইমরানতে গ্রেফতার করতে পারবে না পাক পুলিশ। এদিন, পুলিশকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তোষাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে আদালত যে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল, তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে পাল্টা আবেদন করেছিলেন ইমরান খান। সেই মামলার রায় ঘোষণা এদিন এদিন স্থগিত রেখেছে আদালত। তবে, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে অন্তত একদিনের জন্য স্বস্তি দিয়েছে লাহোর হাইকোর্ট। কবে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে, তার দিনক্ষণও কিছু জানানো হয়নি।

 

 

 

 

গত ১৩ মার্চ, ইমরান খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৮ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে। তবে, মঙ্গলবার পিটিআই সমর্থক এবং পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যে এদিন পিছিয়ে আসতে একপ্রকার বাধ্য হল আদালত।

 

 

লাহোর হাইকোর্টের এই আদেশের পরই, ইমরান খানের জামান পার্কের বড়ির আশপাশ থেকে পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই ইমরান খানের বাড়ি ঘিরে রেখেছিল ইসলামাবাদ পুলিশ। তাদের সহায়তার জন্য লাহোর পুলিশও ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য পাক রেঞ্জার্সদের পাঠানো হয়েছিল। আদালতের আদেশে পুলিশ ও রেঞ্জার্সরা ইমরান খানের বাড়ির আশপাশ থেকে সরে যেতেই ঊচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ইমরানের সমর্থকরা।

 

আরও পড়ুন –  আলমারি খুলতেই বের হল মায়ের টুকরো টুকরো দেহ। মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার…

 

 

এর আগে মঙ্গলবার, হাইকোর্টের নির্দেশেই ইমরান খানের লাহোরের জামান পার্কের বাসভবনে হানা দিয়েছিল ইসলামাবাদ পুলিশ। তবে, তাঁর গ্রেফতারির বিরোধিতা করে ইমরানের বাড়ির বাইরে তাঁর দলের কর্মীরা প্রতিরোধ গড়েছিল। পুলিশের সঙ্গে পিটিআই সমর্থকদের সংঘর্ষে লাহোরের জামান পার্ক এলাকা প্রায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। প্রাক্তন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পাওয়া উপহার অবৈধভাবে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি তোশাখানা থেকে ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া উপহারগুলি তিনি নিজের সম্পত্তি ঘোষণার সময় প্রকাশ করেননি ইমরান। উপরন্ত, সেগুলি বিক্রি করে নিজের পকেটে ভরেছেন। এই উপহারগুলির মধ্যে ছিল একটি বহুমূল্য গ্রাফ রিস্টওয়াচও।