পুলিশকর্মীদের ফাঁকির প্রবণতা রুখতে নির্দেশিকা জারি , আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে যাওয়া পুলিশকর্মীদের ঘটনাস্থলে খুঁজে পাওয়া যায় না বলে হামেশাই অভিযোগ ওঠে। অনেকে আবার ডিউটি শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। কলকাতা পুলিশে এমন অভিযোগ নতুন নয়। এক শ্রেণির পুলিশকর্মীর কাজে ফাঁকি দেওয়ার এ হেন প্রবণতা আটকাতে এ বার ঘটনাস্থলে থাকা যন্ত্রে তাঁদের আরএফআইডি (রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিটি কার্ড) ছোঁয়ানোর পরিকল্পনা করছে লালবাজার। ইতিমধ্যে বাহিনীর সমস্ত কর্মীর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সাধারণ কর্মীদের ক্ষেত্রেও এই কার্ড সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে লালবাজার। সূত্রের খবর, লালবাজার এর পরবর্তী ধাপে নির্দেশ দিয়ে জানাবে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ডিউটি থাকবে, সেখানে কাজের শুরু এবং শেষে ওই কার্ড ছুঁইয়ে নিজের উপস্থিতির প্রমাণ রাখতে হবে পুলিশকর্মীদের। এক পুলিশকর্তা জানান, আপাতত সব কিছুই ভাবনাচিন্তার স্তরে রয়েছে। তবে, এই ব্যবস্থা চালু করলে এক শ্রেণির পুলিশকর্মীর কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আটকানো যাবে।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই লালবাজার কয়েক জন কর্মীর ফাঁকিবাজি ঠেকাতে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ এলে কোনও পুলিশকর্মী সোজা ঘটনাস্থলে যাবেন না। তাঁকে নিজের ইউনিট বা ডিভিশনে গিয়ে ইউনিট হেডের কাছে রিপোর্ট করতে হবে। তিনিই পুলিশকর্মীদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এর পাশাপাশি, কাজ শেষ হওয়ার আগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়া ঠেকাতে লালবাজার পুলিশকর্মীদের সেখানেই ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছে। যেখানে প্রত্যেক পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন – বিপদে পড়লে বাস বা অ্যাপ ক্যাবের ‘প্যানিক বাটনে’ চাপ দিলেই পুলিশের কাছে…
লালবাজার সূত্রের খবর, এই নতুন ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই লালবাজারে চালু করা হয়েছে। সব পুলিশকর্মী তা মেনে চলছেন। তবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ফাঁকিবাজি ঠেকাতে ওই যন্ত্র কোথায় বসানো হবে, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইউনিট বা ডিভিশনে ওই যন্ত্র বসালে বেশি কার্যকর হবে, না কি ঘটনাস্থলে তা বসানো উচিত, তা নিয়েই ভাবনাচিন্তা চলছে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে।