গরম থেকে রেহাই দিতে ট্র্যাফিক পুলিশকে এসি হেলমেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে লালবাজার। তীব্র গরমেও ওঁদের মুক্তি নেই। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়েই যান নিয়ন্ত্রণ করতে হয় কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীদের। এ বার তাঁদের কিছুটা স্বস্তি দিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) হেলমেট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই এসি হেলমেটের ঠান্ডা করার যন্ত্র চলে ব্যাটারিতে। সেটি এক বার চার্জ দিলে প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে।
লালবাজারের খবর, আপাতত পরীক্ষামূলক ভাবে যাচাই করার জন্য একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হেলমেট আনা হয়েছে। সেটি আজ, শনিবার কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের সাউথ গার্ডের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, সাফল্য মিললে ধাপে ধাপে সব ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীকেই এসি হেলমেট দেওয়া হবে। চলতি মাসে আমদাবাদ পুলিশও পরীক্ষামূলক ভাবে এই হেলমেটের ব্যবহার শুরু করেছে। পুরো বিষয়টি দেখছেন কলকাতা পুলিশের উপ-নগরপাল (ট্র্যাফিক) সূর্যপ্রতাপ যাদব এবং ট্র্যাফিক বিভাগের ইকুইপমেন্ট সেলের অফিসারেরা।
তবে, ট্র্যাফিক পুলিশের একটি সূত্র এ-ও জানাচ্ছে, এসি হেলমেট পরে কাজ করলে মাথার সঙ্গে দেহের অন্য অংশের তাপমাত্রার ফারাক হবে। তাতে শরীরের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি না, নজর রাখা হবে সে দিকেও। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে গরম থেকে বাঁচতে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের জন্য ‘নেক কুলার’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ওই ‘নেক কুলার’ ব্যবহার করার ফলে বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যার জন্য পরে সেটি বাতিল করতে হয়।
আরও পড়ুন – যাদবপুরে ১০ জায়গায় ২৬টি সিসি ক্যামেরা বসছে,
পুলিশ সূত্রের খবর, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই এসি হেলমেটের ঠান্ডা করার যন্ত্র চলে ব্যাটারিতে। সেটি এক বার চার্জ দিলে প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে। পাশাপাশি, এই হেলমেট ধুলোর দূষণ থেকেও খানিকটা রক্ষা করবে পুলিশকর্মীদের। বর্তমানে পুলিশকর্মীরা যে হেলমেট ব্যবহার করেন, তার থেকে ৫০০ গ্রাম বেশি ওজন এসি হেলমেটের। বাইরে থেকে বাতাস টেনে তাকে পরিশুদ্ধ করে ওই হেলমেটে প্রবেশ করানো হয়।